,


শিরোনাম:
«» ভারতের গণতন্ত্র রক্ষা ও ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতায় এক নতুন ভারতের উত্থান!! «» ভুল তথ্যে সংবাদ প্রকাশ করায় এনবিআর সদস্য কায়কোবাদের প্রতিবাদ «» অনন্যা সাহা (স্বাতী) ৩২তম জন্মদিন। «» বৈষম্যবিরোধীদের ওপর অতর্কিত হামলা, আইসিইউতে ২ ছাত্রী «» হিন্দুদের সরকারি চাকরি থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগ নিয়ে মুখ খুলল ইউনুসের সরকার, বলল… «» নতুন আঙ্গিকে আরো সু-পরিসরে ব্রাদার্স ফার্নিচার লি: এর শো-রুম এখন বরিশাল «» উদ্যোক্তা হাটের ২০২৪ এওয়ার্ড প্রদান «» উত্তরা ব্যাংকের এমডি রবিউল ইসলামের অপসারণ ও পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন। «» ধর্মনিরপেক্ষতা খারিজের পক্ষে ইউনূস সরকার «» ভন্ডপীর সাঈদ আনোয়ার মোবারকী বাবুর বিরুদ্ধে মানববন্দন ও প্রতিবাদ সমাবেশ।

একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার কথা রির্পোটার।

একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার কথা
রির্পোটার
মোঃ ইসমাইল হোসেন
বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তোষ কুমার অধিকারী সাবেক অতিরিক্ত সচিব গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, ৭ম বিসিএস (১৯৮৫ ব্যাচ) প্রশাসন ক্যাডার ,সভাপতি-বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ বাঘারপাড়া উপজেলা শাখা, যশোর, সহ-সভাপতি- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বাঘারপাড়া উপজেলা শাখা (স্থগিত)
বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তোষ কুমার অধিকারী, পিতা-মৃত: কমল দাস অধিকারী,মাতা- মৃত: রাইসোনা অধিকারী, গ্রাম-দোহাকুলা, ৬নং ওয়ার্ড বাঘারপাড়া পৌরসভা বাঘারপাড়া উপজেলা, জেলাঃ যশোর।জন্ম – ০৯-০৮-১৯৫৫ । সংসদীয় আসন-৮৮ যশোর-০৪ (বাঘারপাড়া, অভয়নগর উপজেলা ও বসুন্দিয়া ইউনিয়ন)
এস. এস. সি-১ম বিভাগ যশোর বোর্ড-১৯৭১ সন, আই. এ. ইন এডুকেশন ২য় বিভাগ যশোর বোর্ড ১৯৭৩ সন, বি.এ. ইন এডুকেশন ২য় শ্রেণী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৭৭ সন, এম. এড ১ম শ্রেণী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৮২-৮৩ সন, এম.এস.এস (রাষ্ট্রবিজ্ঞান) ২য় শ্রেণী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৯৫ সন, এল.এল.বি পাশ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ২০০১ সন ব্যাংকিং ডিপ্লোমা পাশ ১৯৮৪ সন।
মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ-বলছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তোষ কুমার অধিকারী-
১৯৭০ সনে আমি বাঘারপাড়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে ১০ম শ্রেণীতে অধ্যায়নরত থাকাকালে, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের আদর্শের অনুসারী হয়েছিলাম। ১৯৭০ সনের সেপ্টেম্বর মাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক ৬ দফা ও সাধারণ নির্বাচনের প্রচারে আমাদের বাঘারপাড়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এসেছিলেন। আমি ছাত্রলীগের কর্মী হয়ে বঙ্গবন্ধুকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সেগান দিয়েছিলাম। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে করমর্দন করেছিলাম। ১৯৭০ সনের ৭ ও ১৭ ডিসেম্বর সাধারণ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজয়ে আমি বঙ্গবন্ধুর ছবি নিয়ে রাস্তায় মিছিল করেছিলাম।
১৯৭১ সনের উত্তাল ও অগ্নিঝরা মার্চের ৭ তারিখে বঙ্গবন্ধুর প্রদত্ত ভাষণের উদাত্ত আহবানে আমি এস.এস.সি পরীক্ষার্থী অবস্থায় বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছি। ২৯ মার্চ থেকে ০৪ এপ্রিল পর্যন্ত নড়াইল থেকে যশোর সেনানিবাস অভিমুখে ছাত্র জনতার অভিযানে আমি অংশগ্রহণ করেছিলাম। অতঃপর সেনানিবাস থেকে উপর্যুপরি ভারী গুলি বর্ষণে পিছু হটে বাড়ীতে এসে একমাত্র মাকে সঙ্গে নিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে গমন করে বনগাঁ এর পেট্রাপোল শরনার্থী শিবিরে আশ্রয় গ্রহণ করি। অতঃপর এপ্রিল মাসের শেষের দিকে বনগাঁর টালিখোলা মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পে যোগদান করি এবং ৫ মে ১৯৭১ তারিখে মুক্তিযোদ্ধার উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য বিহার প্রদেশের চাকুলিয়া ট্রেনিং ক্যাম্পে আমাকে প্রেরণ করা হয়। ১৮ জুন পর্যন্ত প্রশিক্ষণ শেষে আমাকে পশ্চিমবঙ্গের দত্তফুলিয়া অপারেশন ক্যাম্পে পাঠানো হয়। পশ্চিমবঙ্গের দত্তফুলিয়া ও পেট্রাপোল অপারেশন ক্যাম্পে অবস্থান করে আমি মহান মুক্তিযুদ্ধে ৮ নং সেক্টরের বিভিন্ন রণাঙ্গণে সম্মুখ ও গেরিলা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করি। উল্লেখ্য যে অপপারেশন ক্যাম্পের পার্শ্বে আমার একমাত্র বৃদ্ধা মাকে রেখে তার সম্মুখে আমি আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে বিভিন্ন রণাঙ্গণে গিয়ে যুদ্ধ করেছি। মাকে সঙ্গে রেখে যুদ্ধ করার দৃষ্টান্ত আর পাওয়া যাবে কিনা আমার জানা নেই। চৌগাছা নিবাসী আবদুল আজিজ যিনি মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক পদে কর্মরত ছিলেন তিনি এ বিষয়ে অবগত আছেন। মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের পর ১৯৭২ সনের এপ্রিলে আমার মা ইহলোক ত্যাগ করেন।
ছাত্রজীবনের ছাত্র রাজনীতি
১৯৭০ সনে ১০ম শ্রেণীতে লেখাপড়াকালে আমি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের আদর্শের একজন কর্মী হয়ে কাজ করেছি। বঙ্গবন্ধুর উদাত্ত আহবানে তাঁর আদর্শের সৈনিক হিসেবে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছি। ১৯৭২ সনে আমি বাঘারপাড়া থানার ছাত্রলীগের কমিটিতে সদস্য পদে অন্তর্ভূক্ত হই। ১৯৭২ সনে বাঘারপাড়া থানা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি পদে মনোনীত হই। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৭ পর্যন্ত কলেজ অব এডুকেশন, যশোর পড়াকালে আমি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কর্মী হয়ে ছাত্ররাজনীতি করেছি। ১৯৭৩ সনে কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে আমি দপ্তর সম্পাদক পদে মনোনীত হই। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করেই আমার পথচলা এবং এ পথ চলা এখনো শেষ হয়নি। বঙ্গবন্ধুর উদাত্ত আহবানে কৈশোর বয়সে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছি। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হৃদয়ে লালন ও ধারণ করে চলি। এ প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার আহবানে দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করে জীবন দিতেও দ্বিধাবোধ করব না।
চাকুরী জীবন
১৯৭৮ সনে আমি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করি এবং ১৯৭৯ সনে আমি থানা সহকারী শিক্ষা অফিসার পদে নিয়োগ প্রাপ্ত হই।
বাংলাদেশ ব্যাংকার্স রিক্রটমেন্ট কামিটি (বিআরসি) এর মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে আমি ১৯৮৩ সনে সিনিয়র অফিসার হিসেবে পূবালী ব্যাংকে যোগদান করি। বিসিএস (১৯৮৫) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে আমি ১৫-০২-১৯৮৮ তারিখে বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের একজন সদস্য হিসেবে সহকারী কমিশনার ও ম্যাজিস্ট্রেট পদে যোগদান করি।
০১-০৭-১৯৮৯ তারিখে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলাতে সহাকারী কমিশনার (ভূমি) পদে আমাকে পদায়ন করা হয়।
২২-০২-১৯৯৩ তারিখে আমাকে দিনাজপুর কালেক্টরেটে সিনিয়র সহকারী কমিশনার পদে পদায়ন করা হয়।
০৯-০৯-১৯৯৫ তারিখে নাটোর কালেক্টরেটে সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও এন, ডি, সি পদে নিয়োগ করা হয়।
১৯-০৪-১৯৯৮ তারিখে আমি চাঁপাইনবাবগঞ্জ কালেক্টরেটে সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও এন,ডি,সি পদে যোগদান করি।
০২-০৭-২০০৩ তারিখে আমাকে জয়পুরহাট সদরের উপজেলা নির্বাহী অফিসার পদে পদায়ন করা হয়।
২৩-০১-২০০৬ তারিখে কুড়িগ্রাম জেলায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পদে যোগদান করি।
১১-০৯-২০০৬ তারিখে মাগুরা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পদে পদায়ন করা হয়।
১৫-১০-২০০৬ তারিখে উপ-সচিব পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত হই ।
০৮-০৪-২০০৮ তারিখে কক্সবাজার জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী অফিসার পদে যোগদান করি।
১২-০৮-২০০৯ তারিখে বঙ্গবন্ধুর পুণ্যজন্মভূমি গোপালগঞ্জ জেলার জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পদে যোগদান করি। এখানে কর্মরত থাকাকালীন সময়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ মোতাবেক গোপালগঞ্জের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে বিশেষ করে নারীর আর্থসামাজিক উন্নয়নসহ তাদের ক্ষমতায়নে অনেক কাজ করার সুযোগ পেয়েছি।
১২-১২-২০১২ তারিখে যুগ্মসচিব পদে আমাকে পদোন্নতি প্রদান করা হয়। অতঃপর আমাকে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব পদে পদায়ন করা হয়।
১৩-০৪-২০১৩ তারিখে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব পদে আমাকে পদায়ন করা হয়। এখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বদিচ্ছায় দেশের ২৬,১৯৩ টি বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করণে আমি কাজ করার সুযোগ পেয়েছিলাম।
অতঃপর ১৫-০৩-২০১৫ তারিখে অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত হয়ে ০৯-০৮-২০১৫ তারিখে চাকুরী থেকে অবসর গ্রহণ করি।
সরকারি কোনো অনুষ্ঠানে জয় বাংলাকে জাতীয় স্লোগান ঘোষণার প্রথম দাবি পেশ
গোপালগঞ্জ জেলার জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পদে ২০০৯ থেকে ২০১২ পর্যন্ত কর্মরত থাকাকালে ১৭ই মার্চ ২০১১ তারিখে টুংগীপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর মাজার সংলগ্ন বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন উপলক্ষে ১৫০ জন অসহায় নারীদের সেলাই প্রশিক্ষণ শেষে সেলাই মেশিন বিতরণ অনুষ্ঠানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে আমি বক্তব্য প্রদানের শেষে “জয় বাংলা, জয় বঙ্গন্ধু” স্লোগান প্রদান করে এ “জয় বাংলা ”কে জাতীয় স্লোগান ঘোষণার দাবী করেছিলাম।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমার প্রস্তাবে মৃদু হেসে সম্মতি প্রকাশ করেছিলেন। সরকারি কোনো অনুষ্ঠানে “জয় বাংলা” কে জাতীয় শ্লোগান ঘোষণার দাবী এই প্রথম বলে আমার নিকট প্রতীয়মান হয়েছে। কেন না সরকারি উর্ধ্বতন কর্মকর্তা হয়ে কোনো অনুষ্ঠানে “জয় বাংলা” শ্লোগান প্রদান করার রীতি তখনও চালু ছিল না। আজ এ “জয় বাংলা” শ্লোগান জাতীয় স্লোগানে রূপান্তরিত হয়েছে। এজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আমার অশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এ প্রেক্ষিতে মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর হাতকে আরও শক্তিশালী করতে আমাকে কোন দায়িত্ব প্রদান করা হলে তা আমি অক্ষরে অক্ষরে পালন করবো মর্মে প্রতিশ্রুতি প্রদান করছি।

সামাজিক কর্মকাণ্ডের সংক্ষিপ্ততা
সরকারের একজন মুক্তিযোদ্ধা কর্মকর্তা হিসেবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হৃদয়ে লালন ও ধারণ করে চাকুরীর শুরু থেকে আমি এলাকায় জনসেবায় আত্মনিযোগ করেছি। চাকুরী থেকে অবসরে গিয়ে আমি মাটি ও মানুষের ভালোবাসা ও শিকড়ের টানে নিজ এলাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করে জনসেবায় আত্মনিয়োগ করছি। আমার স্বর্গীয় পিতা-মাতার নামে “রাই- কমল শিক্ষা ফাউণ্ডেশন” স্থাপন করে আমি এলাকায় শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে বরাবরই ছাত্র বৃত্তি প্রদান, এলাকার দুঃস্থ অসহায় জনগনকে খাদ্য, বস্ত্র ও বিভিন্নভাবে আর্থিক সহায়তা প্রদানসহ ধর্মীয় চেতনাকে সম্মুনত রেখে পথ চলেছি। অতঃপর, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, বাঘারপাড়া উপজেলা শাখার সভাপতি হিসেবে সনাতন ধর্মীয় বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগদান করে এলাকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার অদম্য চেষ্টা করে চলেছি।

বাঘারপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হিসেবে রাজনৈতিক অঙ্গণে পদার্পণ
অতঃপর এ সকল সামাজিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে গত জুলাই ২০২২ এ ঘোষিত বাঘারপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে আমাকে সহ-সভাপতি পদে মনোনীত করা হয়। এক মাস পর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের খুলনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক এর দপ্তরে এ কমিটি সাময়িকভাবে স্থগিত ঘোষণা করা হয়। তিন মাসের মধ্যে এ কমিটি প্রকাশ করার কথা থাকলেও অদ্যাবধি এ কমিটি আর আলোর মুখ দেখেনি। তবে আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা মোতাবেক আওয়ামী লীগের সকল ধরণের রাজনৈতিজ কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছি।

বর্তমানে আমি নিম্নবর্ণিত সামাজিক প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছি।
(ক) সভাপতি, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, বাঘারপাড়া উপজেলা শাখা।
(খ) সাবেক সহ-সভাপতি- বাঘারপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ (স্থগিত)।
(গ) সভাপতি, রাইকমল শিক্ষা ফাউন্ডেশন, বাঘারপাড়া পৌরসভা, বাঘারপাড়া, যশোর।
(ঘ) সভাপতি, ভিশন রেসিডেন্সিয়াল মডেল হাই স্কুল, বাঘারপাড়া, যশোর।
(ঙ) উপদেষ্টা, কমিউনিটি পুলিশিং, বাঘারপাড়া থানা, যশোর।
(চ) উপদেষ্টা, কিন্ডার গার্টেন স্কুল শিক্ষক এসোসিয়েশন, বাঘারপাড়া, যশোর।
(ছ) সভাপতি, শ্রীশ্রী রাধাগোবিন্দ মন্দির, বাঘারপাড়া পৌরসভা, যশোর।
শেষ নিবেদন
জন্মভূমির মাটি ও মানুষের ভালোবাসা ও নাড়ীর টানে আমি চাকুরী থেকে অবসরে গিয়ে ২০১৬ সন থেকে গ্রামের বাড়ীতে স্থায়ীভাবে বসবাস করে এলাকার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। আমার স্বর্গীয় পিতা-মাতার নামে “রায় কমল শিক্ষা ফাউডেশন” প্রতিষ্ঠা করে শিক্ষার উন্নয়নে কাজ করে চলেছি। আমি এখন এলাকার অনেক সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছি। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, বাঘারপাড়া উপজেলা শাখার সভাপতি পদে মনোনীত হয়েছি।
বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর আদর্শের সৈনিক হয়ে একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এলাকার জনগনের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কাজ করে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কণ্যা দেশের গণমানুষের নেতা, বিশ্ব মানবতার জননী, বিশ্ব বিবেক ও বিশ্বের লৌহমানবী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে আমি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ থাকব।
“জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু”, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক ।
(বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তোষ কুমার অধিকারী) সাবেক অতিরিক্ত সচিব গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার,
৭ম বিসিএস (১৯৮৫ ব্যাচ) প্রশাসন ক্যাডার, সভাপতি-বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ বাঘারপাড়া উপজেলা শাখা, যশোর সহ-সভাপতি- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বাঘারপাড়া উপজেলা শাখা, যশোর (স্থগিত)
বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তোষ কুমার অধিকারী, অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ৭ম বিসিএস (১৯৮৫ ব্যাচ) এর একজন মুক্তিযোদ্ধা কর্মকর্তা। তিনি চাকুরী জীবনে ২০০৯ থেকে ২০১২ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর পুণ্য জন্মভূমি গোপালগঞ্জ জেলাতে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সদয় নির্দেশনা মোতাবেক গোপালগঞ্জের আর্থ- সামাজিক উন্নয়নে অবদান রেখেছেন। আরও জানা যায় ২০১১ সনের ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্ম বার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর মাজার প্রাঙ্গণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত সরকারি অনুষ্ঠানে তিনি প্রথম “জয় বাংলা” শ্লোগানকে জাতীয় স্লোগান হিসেবে ঘোষণার দাবী করেছিলেন। তিনি ছাত্র জীবনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী এবং ১৯৭২ সনে বাঘারপাড়া থানার ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি ছিলেন। চাকুরির শেষ পর্যায়ে তিনি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে কর্মরত থেকে দেশের সকল সরকারি ও বেসরকারী প্রাথমিক শিক্ষাকদের আকুন্ঠ আস্থা অর্জন করেছেন।
তিনি বর্তমানে চাকুরি থেকে অবসরে গিয়ে নিজ এলাকা বাঘারপাড়ায় স্থায়ীভাবে অবস্থান করছেন। ইতোমধ্যে তিনি বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, বাঘারপাড়া উপজেলা শাখার সভাপতি মনোনীত হয়েছেন। তিনি দূর্নীতিমুক্ত ও নিয়োগ বাণিজ্য মুক্ত শিক্ষা, ন্যায় ও জ্ঞানভিত্তিক সামাজ গঠন কল্পে এলাকার মাটি ও মানুষের দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ’কে বেগবান করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্তিশালী করার মানষে আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনী এলাকা-৮৮, যশোর-০৪ আসন থেকে আমরা এলাকার জনগণ তাঁকে জাতীয় সংসদ সদস্য হিসেবে দেখতে চাই।
বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তোষ কুমার অধিকারী, অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পুণ্য জন্মভূমি গোপালগঞ্জে ২০০৯ থেকে ২০১২ পর্যন্ত কর্মরত থেকে গোপালগঞ্জের আর্থসামাজিক উন্নয়নে অবদান রেখেছেন। তিনি ছাত্র জীবনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের সৈনিক এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। ১৯৭২ সনে তিনি বাঘারপাড়া থানার ছাত্রলীগের কমিটিতে সদস্য পদে অন্তর্ভূক্ত হয়েছিলেন।
তিনি চাকুরি থেকে অবসরে গিয়ে মাটি ও মানুষের ভালোবাসা ও নাড়ির টানে নিজ এলাকা বাঘারপাড়ায় ২০১৬ থেকে স্থায়ীভাবে অবস্থান করছেন। তিনি এলাকার দূর্নীতিমুক্ত ও নিয়োগ বাণিজ্যমুক্ত শিক্ষা, ন্যায় ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনে অংগীকারাবদ্ধ। তিনি এলাকার জনকল্যাণে নিঃস্বার্থভাবে অবদান রেখে চলেছেন এবং ভবিষ্যতে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ গড়ার কাজে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাতকে আরও শক্তিশালী করতে বদ্ধপরিকর।
আমরা এলাকার জনগণ তাঁর মত জনদরদী, সদালাপী উচ্চ শিক্ষিত বীর মুক্তিযোদ্ধাকে আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনী এলাকা-৮৮, যশোর-০৪ এর জাতীয় সংসদ সদস্য হিসেবে দেখতে আগ্রহী।
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক”
“জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু

Share Button
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।
ঘোষনাঃ