,


শিরোনাম:
«» ভারতের গণতন্ত্র রক্ষা ও ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতায় এক নতুন ভারতের উত্থান!! «» ভুল তথ্যে সংবাদ প্রকাশ করায় এনবিআর সদস্য কায়কোবাদের প্রতিবাদ «» অনন্যা সাহা (স্বাতী) ৩২তম জন্মদিন। «» বৈষম্যবিরোধীদের ওপর অতর্কিত হামলা, আইসিইউতে ২ ছাত্রী «» হিন্দুদের সরকারি চাকরি থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগ নিয়ে মুখ খুলল ইউনুসের সরকার, বলল… «» নতুন আঙ্গিকে আরো সু-পরিসরে ব্রাদার্স ফার্নিচার লি: এর শো-রুম এখন বরিশাল «» উদ্যোক্তা হাটের ২০২৪ এওয়ার্ড প্রদান «» উত্তরা ব্যাংকের এমডি রবিউল ইসলামের অপসারণ ও পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন। «» ধর্মনিরপেক্ষতা খারিজের পক্ষে ইউনূস সরকার «» ভন্ডপীর সাঈদ আনোয়ার মোবারকী বাবুর বিরুদ্ধে মানববন্দন ও প্রতিবাদ সমাবেশ।

বগুড়াতে বন্যায় দেড় শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ

এম এ সৈয়দ তন্ময়: বগুড়ার তিনটি উপজেলার দেড় শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে। এ কারণে ওইসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠদান কার্যক্রম এবং অর্ধবার্ষিক পরীক্ষাসহ সব কার্যক্রম বন্ধ আছে।
বগুড়ার সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও ধুনট উপজেলার মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চ বিদ্যালয়, মাদ্রাসা ও কলেজ পর্যায়ের বিদ্যাপীঠ রয়েছে। বন্যার কারণে সার্বিক শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। তবে সারিয়াকান্দি উপজেলার চন্দবাইশা আটবাড়িযা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের কাছেই বাঁশ আর টিন দিয়ে ঘর তুলে একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখা হয়েছে।
বন্যাকবলিত স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থী সুলতানা রাজিয়া, আইনুল হক, মহসীন আলী, নয়নতারা খাতুন, রাকিব হাসানসহ অনেকেই জানান, প্রতিবছরই বন্যার সময় পাঠদান ও পরীক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকে। এছাড়া বসত বাড়িতে পানি ওঠায় তাদের বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়ে থাকতে হয়। এতে পড়াশোনায় ব্যাঘাত হয়।
সারিয়াকান্দি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রুহুল আমিন জানান, উপজেলার চন্দনবাইশা আবু আব্দুলাহ দাখিল মাদরা, শনপচা উচ্চ বিদ্যালয়, জামথল উচ্চ বিদ্যালয়, বোহাইল উচ্চ বিদ্যালয়, উত্তর টেংরাকুড়া উচ্চ বিদ্যালয়, আউচার পাড়া উচ্চ বিদ্যালয় ও নিজাম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়সহ সবকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বন্যার পানি প্রবেশ করায় পাঠদান বন্ধ আছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল আলম জানান, উপজেলায় ৫৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৪৩টির পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কয়েকটি বিদ্যালয় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের সন্নিকটে হওয়ায় বাঁধের ওপর ছাপড়াঘরে পাঠদান চলছে।
বগুড়া জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হোসেন আলী জানান, সোনাতলা, সারিয়াকান্দি ও ধুনট উপজেলার ৭৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানি ঢুকেছে। ১২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা উপস্থিত থাকলেও শিক্ষার্থীরা আসছে না।
যেসব বিদ্যালয়ে বন্যার কারণে পড়ালেখা বিঘ্নিত হবে, বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর সেসব প্রতিষ্ঠানে অতিরিক্ত ক্লাস নিয়ে তা পূরণ করা হবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
বগুড়া জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গোপাল চন্দ্র জানান, প্রতিদিনই বন্যার পানি বাড়ছে। তাই নিমজ্জিত প্রতিষ্ঠানের সঠিক হিসাব বলা সম্ভব নয়। তবে এ পর্যন্ত শতাধিক স্কুল, কলেজ এবং মাদরাসা পানি উঠেছে। ফলে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ হয়ে পড়েছে।
তিনি আরও জানান, বন্যার পানি নেমে গেলে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে অতিরিক্ত ক্লাস নেয়ার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের এই ক্ষতিটা পুষিয়ে দেবার জন্য শিক্ষকদের নির্দেশনা ও পরামর্শ দেয়া হয়েছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও একাডেমি সুপারভাইজাররা সেসময় বিষয়টি মনিটরিং করবেন।

Share Button
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।
ঘোষনাঃ