রাজশাহী থেকে এম এ সৈয়দ তন্ময় : নাটোরের লালপুর উপজেলা সাব রেজিষ্ট্রি অফিসের অফিস সহকারী তাহমিনা খাতুন সরকারী চাকরীতে যোগদান করেছেন ১১ বছর বয়সে। বর্তমানে পদোন্নতির জন্য আবারও বয়স কমানোর আবদেন করেছেন তিনি। একারনে জৈষ্ঠতার দাবীদার অনেকেই পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশংকা করছেন। বালিকা বয়সে সরকারী চাকরীতে যোগদান করে কর্মরত আবস্থায় আবারো পদোন্নতির জন্য জালিয়াতির মাধ্যমে বয়স কমানোর আবেদন করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন নাটোরের শতাধিক মোহরার ও টিসি মোহরারসহ নকল নবীশরা। রোববার স্থানীয় একটি মিডিয়া হাউজে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা মোহরার ও নকলনবীশ সমিতির সভাপতি আদিলুর রহমান লিখিত বক্তব্যে বলেন, লালপুর উপজেলা সাব রেজিষ্ট্রি অফিসের অফিস সহকারী তাহমিনা খাতুন তার সার্ভিস বহিতে জন্ম তারিখ বিদ্যমান রয়েছে ১৯৫৮ সালের ২৪ অক্টোবর। এক্ষনে কোন অসৎ উদ্যেশ্যে তাহমিনা খাতুন গ্রেডেশন তালিকায় পুর্বে শিক্ষাগত তথ্য গোপন রেখে মোটা অংকের অর্থে বিনিময়ে জেলা রেজিষ্ট্রি অফিসের কতিপয় অসৎ কর্মকর্তা কর্মচারীর যোগসাজসে জন্ম তারিখ ১৯৬৫ সালের ২৪ অক্টোবর করার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করেছেন। যা সরকারী চাকুরী বিধি অনুযায়ী দন্ডনীয় অপরাধ।
এসময় সদর উপজেলা মোহরার সমিতির সাধারন সম্পাদক গোলাম মোস্তফা জানান, তাহমিনা খাতুন চাকুরীর শুরুতেই ৭ বছর বৃদ্ধি করে চাকরীতে যোগদান করেছেন। আবার চাকরীর শেষের দিকে জালিয়াতির মাধ্যমে ৭ বছর বয়স কমিয়ে চাকরীতে বহাল থাকার চেষ্টা করছেন। এতে তিনি ওই পদে বহাল থাকলে অন্তত ১০ জন ওই পদ থেকে বঞ্ছিত হবেন। তারা এই জালিয়াতি বা মিথ্যাচারের ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সুলতানা রাজিয়া, কামরুন নাহার, সাখাওয়াত হোসেন,আতিকুর রহমান ,জুয়েল হোসেন প্রমুখ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাটোর জেলা রেজিষ্টার আনন্দ বর্মন জানান, যে কেউ বয়স বৃদ্ধির আবেদন করতে পারেন এবং তা বিধি অনুযায়ী হতে হবে। তাহমনিা খাতুনের আবেদনটি সংশ্লিষ্ট বিভাগে পাঠানো হয়েছে। জালিয়াতির বিষয়টি সংশ্লিষ্ট বিভাগ খতিয়ে দেখবে। তবে তাহমিনা খাতুন ১১ বছর বয়সে চাকরীতে যোগদানের বিষয়টি তার জানা নেই।
নাটোরে অফিস সহকারী ১১ বছর বয়সে চাকরীতে যোগদান

সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।