সরেজমিনে দেখা গেছে, রাজাপুর উপজেলার বাগড়ি বাজার এলাকা থেকে শুরু করে বাঁশতলা হয়ে বাগড়ি স্কুল পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটারসহ বিভিন্ন স্থানের কয়েক কিলোমিটারজুড়ে সড়কের বিভিন্ন জায়গা থেকে পিচ উঠে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে প্রতিনিয়তই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে মোটর সাইকেল ও ইজিবাইক।
বাস চালক মাহবুব, আলমগীর ও সাইদুল ইসলাম জানান, পদ্মা সেতু হওয়ার পর দ্রুত সময়ে যাত্রী পৌছে দিতে হচ্ছে। কিন্তু সড়ক এভাবে ভাঙার কারণে গাড়ি চালাতে বেগ পেতে হয়। এতে সময় নষ্ট ও গাড়ির যন্ত্রাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এতে দুর্ঘটনার বড় ধরনের শঙ্কা থাকে।
কয়েকজন মোটর সাইকেল চালক জানান, গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে সড়কে গর্ত হয়েছে। যা দূর থেকে বোঝা যাচ্ছে না। এতে অপরিচিত কয়েকজন চালক দুর্ঘটনার শিকার হয়ে আহতও হয়েছেন।
ইজিবাইক চালক, সালাম, হাসিব ও আল আমিন জানান, সড়কে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে যান চলাচলে চরম দুর্ভোগ হচ্ছে। খানাখন্দে গাড়ির চাকা পরে আটকে যায়, স্বাভাবিকভাবে গাড়ি চালানো সম্ভব হচ্ছে না। গাড়ির যন্ত্রাংশের চরম ক্ষতি হচ্ছে। পদ্মা সেতুর চালু হবার পর খুলনা-বরিশাল আঞ্চলিক মহাসড়কটিতে গাড়ির চাপ বেড়ে যাওয়ায় বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়েছে। তার মধ্যে কয়েক কিলোমিটারের সড়কের বিভিন্ন অংশ চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, প্রতিনিয়তই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে এ সড়কে। এ অবস্থায় শিগগিরই সড়কটি সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে উদ্যোগ নেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন তারা। এছাড়া পানি ছিটে নোংড়া হচ্ছে রাস্তার পাশ থেকে শিক্ষার্থীসহ যাতায়াতকারীদের পোষাক।
স্থানীয় সূত্র জানায়, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে যাতায়াতের একমাত্র সড়ক এটি। সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার যানবাহন চলাচল করে। যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ থাকায় সড়কের অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছে। এতে যাত্রী ও যানবাহন চালকদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। মাঝে মধ্যেই ওই এলাকায় প্রাইভেটকার, ট্রাক ও বাস দুর্ঘটনাও ঘটেছে। মহাসড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় দক্ষিণ- পশ্চিমাঞ্চলের হাজার হাজার হালকা ও ভারী যানবাহন ভোগান্তিতে রয়েছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগ মাঝে মধ্যে বালু ও পাথর ফেলে যান চলাচল স্বাভাবিক করতে জরুরী মেরামত করলেও কোনো সুফল মিলছে না বরং তাতে বালু ছড়িয়ে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।
ঝালকাঠি সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ নাবিল হোসেন জানান, কয়েক বছর আগে সড়কটি সংস্কার করা হয়েছিল। এখন সড়কের বিভিন্ন স্থানের অল্পকিছু এলাকায় খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টিতে তা বেড়ে যাচ্ছে এবং বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। শিগগিরই ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক সংষ্কার করে স্বাভাবিক যান চলাচলের উপযোগী করা হবে।
এ ধরনের আরো সংবাদ





