ঝালকাঠির রাজাপুরে ৮ বছরের শিশু ধর্ষণ মামলা কয়েক ঘন্টার মধ্যে ধর্ষক গ্রেফতার।
মোঃ মাছুম বিল্লাহ,
ঝালকাঠি জেলা প্রতিনিধিঃ
ঝালকাঠির রাজাপুরের বড় কৈবর্তখালি আশ্রায়ণের বাসিন্ধা স্বামী পরিত্যাক্তা মাহেনুর বেগমের ৮ বছরের কন্যা শিশু ধর্ষণের ১৫ দিন পরে থানায় মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। মামলা দায়েরের কয়েক ঘন্টার মধ্যে রাত সাড়ে ১১ টার দিকে রাজাপুর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে একই এলাকা থেকে ধর্ষক শাহিন’কে গ্রেফতার করেছে। নির্যাতিত শিশুটিকে নিয়ে পরের দিন রাজাপুর এসি ল্যান্ড ও ইউএনওর কাছে গেলেও তারা কোন আইনগত সহায়তার বদলে উল্টো ভিকটিমের মাকে ধর্ষককে ধরে আনার নির্দেশ দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এজাহার উল্লেখ করা হয়েছে, ৩০ মে রাতে নির্যাতিত শিশুটি মায়ের সাথে একই আশ্রায়ণে হালিমের ঘরে যাচ্ছিল। বিদ্যুৎ না থাকায় অন্ধকারে পথিমধ্যে মায়ের পিছন থেকে একই আশ্রায়ণের বখাটে শাহিন তার শিশু কন্যার মুখ চেপে ধরে তার ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। শিশুটিকে নিজ ঘরের সামনে রেখে পালিয়ে যায়।
এজাহারে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, আশ্রয়নের সকলের পরামর্শে ঘটনার পরের দিন (৩১ মে) সকালে বাদী মেয়ে নিয়ে রাজাপুর উপজেলা ভূমি সহকারি কমিশনার ফারজানা ববি মিতুর কাছে গিয়ে বিষয়টি জানালে তিনি তাদের উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা (ইউএনও) নুসরাত জাহান খানের কাছে যেতে বলেন। তখন ধর্ষণের শিকার শিশুর মা ইউএনও’ র কাছে গিয়ে ঘটনার বর্ণানা দিয়ে বিচারের দাবি করলে তিনি সবশুনে তাদেরকে (ধর্ষিতার মা) ধর্ষক শাহিনকে ধরে তার অফিসে নিয়ে আসতে বলেন।
পরবর্তীতে ৩/৪ দিন অতিবাহিত হলে ধর্ষক শাহিনকে না পেয়ে আবারো বিচারের আশায় শিশুটির মা ইউএনও কাছে গিয়ে নিরাশ হয়ে ফিরে আসেন। এরপর তিনি শিশুটিকে রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
সেখানে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রনাধীন ওয়ান-ষ্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) গত ৮ জুন থেকে ১৪ জুন পযর্ন্ত চিকিৎসাধীন থাকার পর ওসিসি কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে গত ১৫ জুন রাজাপুর থানায় শিশুটির মা বাদী হয়ে এজাহার দায়ের করেন।
রাজাপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পুলক চন্দ্র রায় বলেন, শাহিন’কে গ্রেফতার করে ঝালকাঠি আদালতে পাঠান।