গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর অবগত হয় যে,১৮.১২.২০২১ খ্রিঃ তারিখে দুবাই-চট্টগ্রাম-ঢাকাগামী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর ফ্লাইট নং BG-148 এর মাধ্যমে স্বর্ণ চোরাচালান সংঘটিত হতে পারে। এর প্রেক্ষিতে বিমান বন্দরের বিভিন্ন পয়েন্টে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ সতর্কতামূলক অবস্থান গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে দুবাই হতে আগত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর ফ্লাইট নং BG-148 আনুমানিক সকাল ৮.৩৫ ঘটিকায় শাহ আমানত আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার পর কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত এয়ারপোর্ট সার্কেলের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ বিমানের অভ্যন্তরে রামেজিং বা বিশেষ তল্লাশীর জন্য প্রবেশ করেন। তল্লাশীকালে উক্ত এয়ারক্রাফটের ১৭বি নং সীটের নীচে অভিনব উপায়ে লুকানো অবস্থায় কালো স্কচটেপে মোড়ানো ০৪ (চার) টি প্যাকেটে পরিলক্ষিত হয় এবং প্যাকেটগুলো উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে উক্ত প্যাকেটগুলো বিমানবন্দরে কর্মরত বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধির উপস্থিতিতে খোলা হয়।প্যাকেটগুলো খুলে ৮৬পিস স্বর্ণবার পাওয়া যায়, যার মোট ওজন ৯৯৭৬ (নয় হাজার নয়শত ছিয়াত্তর ) গ্রাম এবং আনুমানিক বাজার মূল্য ৬,৯৮,৩২,০০০/- (ছয় কোটি আটানব্বই লক্ষ বত্রিশ হাজার) টাকা। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর সীটের নীচে কালো স্কচটেপ দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় অত্যন্ত সুকৌশলে লুকিয়ে স্বর্ণবারসমূহ অবৈধভাবে সরকারি ধার্যকৃত শুল্ককরাদি ফাঁকি দিয়ে চোরাচালানের উদ্দেশ্যে দেশে আনা হয়েছে, যা পরবর্তীতে যেকোনো পথে বিমানবন্দর সীমানার বাইরে পাচারের আশঙ্কা ছিল। এক্ষেত্রে, কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মতৎপরতায় তা প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়েছে। আটককৃত স্বর্ণবারগুলো কাস্টম হাউস, চট্টগ্রাম এর মূল্যবান শুল্ক গুদামে জমা প্রদান করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে প্রায় সাত কোটি টাকার স্বর্ন জব্দ।
দৈনিক স্বদেশ বাংলা
ডিসেম্বর, ১৯, ২০২১, ১২:১০ অপরাহ্ণ
জাতীয় |
341 Views

সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।