রাজশাহী থেকে এম এ সৈয়দ তন্ময়: পাবনার চাটমোহর উপজেলার বিলচলন ইউনিয়নের দোলং গ্রামের ঈদগাহ মাঠ এলাকা ও উপজেলার নিমাইচড়া ইউনিয়নের করকোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে আবারো শতাধিক গোখরা সাপ নিধন করা হয়েছে।
এরআগে গত শুক্রবার উপজেলার বোয়ালমারী গ্রামে ২৫টি ও মঙ্গলবার বালুদিয়ার গ্রামে ১৭টি সাপ মারা হয়। এদিকে শুক্রবার রাতে সর্প দংশনে একজন মারা গেছে এবং একজন সর্প দংশনে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
শনিবার দিবাগত রাতে দোলং গ্রামের মৃত আসাব আলীর ছেলে আছান আলীর শোবার ঘরের একটি গর্ত খুঁড়ে শতাধিক তাজা সাপ বের করা হয়। অপরদিকে দুপুরে করকোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সকালে স্কুলের ঘরের দেয়ালের ফাঁক থেকে ১৩টি গোখরা সাপ মরা হয়।
দোলং গ্রামের আছান আলী জানান, শোবার ঘরে পাটির নিচে কয়েকটি বাচ্চা সাপ দেখা যায়। সেইসাথে ঘরের মেঝেতে সাপের গর্ত পাওয়া যায়। পরে গর্তে আরো অনেক সাপ দেখা যায়।
খবর পেয়ে গ্রামের মানুষ জড়ো হয়। পরে স্থানীয়রা গর্ত খুড়ে একে এক ৮০টির অধিক সাপ বের করে মেরে ফেলে।
রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ঘরের মেঝে খোঁড়া হলেও বড় সাপটিকে মারা যায়নি। এদিকে আছান আলীর বাড়িতে গোখরা সাপ পাওয়ায় এলাকায় সাপ আতংক দেখা দিয়েছে।
অন্যদিকে উপজেলার ডিবিগ্রাম ইউনিয়নের দাথিয়া বামনগ্রামে সর্প দংশনে মারা গেছে ওসমান আলীর ছেলে শরফুল সরদার (৩৫)। শুক্রবার রাতে তাকে সর্প দংশন করলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। এ
ছাড়া একই গ্রামের আক্কাস আলীর ছেলে আনোয়ার হোসেন (৩২) কে সর্প দংশন করলে স্থানীয় ওঝা দ্বারা ঝাড় ফুক দিলে সুস্থ হন তিনি।
পাবনায় আবারো মারা হলো শতাধিক গোখরা সাপ!

সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।