গৌতম গাঙ্গুলী: আজ অনাড়ম্ভো ভাবে অনুষ্ঠিত হলো সিদ্ধিশ্বরী কালি মন্দিরের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন-২০২২ইং । উক্ত সম্মেলনের মাধ্যমে সভাপতি নির্বাচিত হলেন “বাবু সুব্রত পাল” (সি আই পি) সাবেক “সাধারন সম্পাদক” সিদ্ধেশ্বরী কালি মন্দির,হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাষ্টের সিনিয় ভাইস চেয়ারম্যান ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ । তিনি বিগত বছরে সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে মন্দিরের ব্যপক উন্নয়ন করেন এবং এ বছর প্রথম বারের মত সভাপতি নির্বাচিত হন ও প্রথম বারের মতো সিদ্ধেশ্বরী মন্দিরে মহিলা “সাধারন সম্পাদিকা” নির্বাচিত হয়েছেন প্রনিতা সরকার।
সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দির বাংলাদেশের ঢাকার ১৪ সিদ্ধেশ্বরী লেনে অবস্থিত একটি হিন্দু মন্দির। সিদ্ধেশ্বরীর মন্দিরটি কখন ও কিভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তা সঠিকভাবে জানা যায় না। কিন্তু উনিশ শতকের শেষের দিকে ও বিংশ শতকের শুরুর দিকে মন্দিরটি বিখ্যাত হয়। জানা যায় যে “সিদ্ধেশ্বরী” নামকরণ হয়। চাঁদ রায় নামের এক ব্যক্তি মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেন বলে মনে করা হয় ।গঠনকৌশলের দিক দিয়ে সিদ্ধেশ্বরীর মন্দিরটি অত্যন্ত ঐতিহাসিক। মন্দিরটির কেন্দ্রে মা কালীর মূর্তি রয়েছে এবং সুন্দর স্তম্ভ দ্বারা মন্দিরটি সম্প্রসারণ করা হয়েছে।
সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দির ঢাকার ১৪ সিদ্ধেশ্বরী লেনে অবস্থিত দেবী কালীর একটি জাগ্রত মন্দির। বিক্রমপুরের অধিপতি চাঁদ রায় আনুমানিক ১৫৮০সালে নির্মাণ করেন এ কালী মন্দির৷এক সময় বিশাল পুকুর আর অরণ্যঘেরা এ মন্দিরটি এখন কালের পরিক্রমায় সংকীর্ণায়তন হয়ে গয়েছে ।এ মন্দির থেকেই এলাকাটির নামকরণ হয়েছে ।
১৯২৬সালে সিদ্ধেশ্বরী কালীমন্দিরে এসে ধর্মকর্মে আত্মনিয়োগ করেন আনন্দময়ী মা ।এই মন্দিরেই একদিন দিব্যভাবে মাতোয়ারা হয়ে পড়েন মা আনন্দময়ী এবং সিদ্ধিলাভ করেন তিনি । এই মন্দির থেকেই উপমহাদেশের বরেণ্য ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব মা আনন্দময়ীর খ্যাতি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। মন্দির প্রাঙ্গণে বহুবর্ষজীবী রক্তচন্দন গাছ রয়েছে। অবৈতনিক গীতা স্কুল পরিচালিত হয় মন্দির প্রাঙ্গণে ।
সিদ্ধেশ্বরী কালীমন্দিরে দুর্গাপূজা, কালীপূজা, বাসন্তীপূজা, সরস্বতীপূজা,গণেশপূজা, লোকনাথ পূজা ও অন্যান্য ধর্মানুষ্ঠান জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশে উদযাপিত হয়।