ইসলামী সমাজের আমীর হজরত সৈয়দ হুমায়ূন কবীর বলছেন, গণতন্ত্রের দোহাই দিয়ে জনগণের সার্বভৌমত্বের নামে দীর্ঘ ৫০ বছর যাবত দলীয় নেতাদের সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও কর্তৃত্ব চলছে এবং মানুষের মনগড়া সংবিধানের ভিত্তিতে নেতৃত্ব দানকারী নেতাদের নেতৃত্ব চলছে। যার কারণে জাতির মানুষ সুশাসন ও ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত এবং দুর্নীতি, সন্ত্রাস, উগ্রতা, জঙ্গীতৎপরতা, গুম-খুন, ধর্ষন ও মাদক ইত্যাদি মানবতা বিরোধী অপরাধের সয়লাবে জাতীয় জীবনে চরম দূর্ভোগ ও অশান্তি চলছে। তিনি বলেন, সকল ধর্মের লোকদের জন্য যার যার ধর্ম পালনের সুযোগ রেখে আল্লাহর নির্দেশিত এবং তাঁরই রাসূল হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর প্রদর্শিত শান্তিপূর্ণ পদ্ধতিতে সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠা হলেই মানুষের জীবনে সুশাসন ও ন্যায় বিচার নিশ্চিত হবে, তাদের মৌলিক অধিকারসহ সকল অধিকার আদায় ও সংরক্ষণ হবে এবং সকল প্রকার দূর্ভোগ ও অশান্তি দূর হয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে।
আজ ১৯ ডিসেম্বর, ২০২১; রবিবার, সকাল ১১ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তায় ইসলামী সমাজের কেন্দ্রীয় নেতা জনাব সোলায়মান কবীর এর সঞ্চালনায় “সকল মানুষের সার্বিক কল্যাণে সমাজ ও রাষ্ট্রে ‘ইসলাম’ প্রতিষ্ঠায় মহাসত্যের ভিত্তিতে জাতীয় ঐক্য গঠনের লক্ষ্যে” ইসলামী সমাজের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত বিশেষ মানববন্ধনে দেশ ও বিশ্ববাসী সকলের উদ্দেশ্যে সংগঠনের আমীর বলেন, গণতন্ত্রের অধীনে নির্বাচন কিংবা সমাজ ও রাষ্ট্রে মানব রচিত ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত থাকাকালীন সময়ে সশস্ত্র লড়াই ইসলাম প্রতিষ্ঠার পদ্ধতি নয়। তিনি বলেন, সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতে হলে আল্লাহরই সার্বভৌমত্বের ভিত্তিতে তাঁরই আইন-বিধানের প্রতিনিধিত্বকারী আমীরের নেতৃত্বের আনুগত্যে ইসলামী সমাজ গঠন আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। আন্দোলনের পথে সকল প্রকার বিরোধীতার মোকাবিলার দায়িত্ব আল্লাহর উপর ছেড়ে দিয়ে ছবর ও ক্ষমার নীতিতে দৃঢ় থেকে আল্লাহর উপর পূর্ণ নির্ভরশীল হয়ে আন্দোলনের নেতা-কর্মীগণ নিজেদের সময় ও অর্থ কুরবানী করে দাওয়াতী কাজ চালিয় যেতে থাকলে এবং আল কুরআন ও সুন্নাহর দিক-নির্দেশনা মোতাবেক ছালাত ও অন্যান্য আমল সমূহ নিজেদের জীবনে কার্যকরী করার মাধ্যমে আল্লাহর সাথে সম্পর্ক গভীর ও বৃদ্ধি করতে থাকলেই আমীরের নেতৃত্বে যখন আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের নিকট গ্রহণযোগ্য একদল ঈমানদার ও সৎকর্মশীল লোক গঠন হবে তখনি তিনি যেখানে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতে চান সেখানে তাদেরকে খিলাফত-রাষ্ট্রীয় শাসন ক্ষমতা দান করবেন।
এভাবে আমীরের নেতৃত্বে ঈমানদারগণ রাষ্ট্রীয় শাসন ক্ষমতা লাভ করলেই সকল ধর্মের লোকদের জন্য যার যার ধর্ম পালনের সুযোগ রেখে আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর অনুসরণ ও অনুকরণে পর্যায়ক্রমে সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলামের আইন-বিধান চালু করে মানুষের জীবনে সুশাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করবেন- এটাই সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠায় আল্লাহর নির্দেশিত এবং তাঁরই রাসূল (সাঃ) প্রদর্শিত একমাত্র পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতেই “ইসলামী সমাজ” সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠার আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। দল-মত নির্বিশেষে সকলকে তিনি ‘ইসলামী সমাজ’ পরিচালিত ইসলাম প্রতিষ্ঠার শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে শামিল হয়ে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানান।
এসময় আরো বক্তব্য রাখেন- সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা জনাব মুহাম্মাদ ইয়াছিন ও মুহাম্মাদ ইউসুফ আলী মোল্লা।