সাজ্জাদ হোসেন : মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক প্রশাসন গড়ার স্বার্থে শুধু মুক্তিযোদ্ধা কোটায় সকল ক্যাডারে স্পেশাল বিসিএস ঘোষণা করে শুন্য পদগুলো পূরণের দাবি জানিয়েছে আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ। তারা মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার জন্য মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দেশপ্রেমিক সংগঠন ও জনতাকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়েছেন। পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা এসব ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তকারীদের ব্যাপারে জাতির পিতার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও দফতর সম্পাদক আহমাদ রাসেলের পরিচালনায় ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আল-আমিন মৃদুলের তত্ত্বাবধানে আজ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘বঙ্গবন্ধু হত্যায় ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিতকরণে কমিশন গঠন ও মুক্তিযোদ্ধা কোটা বিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে সমাবেশ ও মানববন্ধনে’ বক্তারা এসব কথা বলেন।
সংগঠনের নেতৃবৃন্দ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার ষড়যন্ত্র ও পরিকল্পনাকারীদের চিহ্নিত করতে অবিলম্বে একটি জাতীয় কমিশন গঠনের দাবি জানান। তারা বঙ্গবন্ধু হত্যায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামীদের অবিলম্বে দেশে ফিরিয়ে আনার কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণেরও দাবি জানান। তারা বলেন, অনেক আগে বঙ্গবন্ধু হত্যার রায় ঘোষিত হয়েছে। কয়েকজনের রায়ও কার্যকর হয়েছে। অথচ ষড়যন্ত্র ও পরিকল্পনাকারীরা এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরেই রয়ে গেছে। ফলে তারা রাজনৈতিক স্রোতের সাথে মিশে গিয়ে রাজনীতিকে কলুষিত করছে। এই ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করতে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ জরুরি।
সমাবেশে বক্তৃতা করেন সংগঠনের সহ-সভাপতি কাজী আবু রাসেল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজহারুল ইসলাম অপু, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমা আক্তার ও গুলজার হোসেন, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য আনিসুর রহমান মোল্লা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিজিৎ সরকার ও আব্দুল্লাহ, ঢাকা কলেজের নজরুল ইসলাম মানিক, কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি গোলাম রব্বানী রুবেল, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন ও নোয়াখালী সুবর্ণচরের সভাপতি রাশেদ নিজাম।
মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা একটি অসাম্প্রদায়িক জঙ্গিমুক্ত দেশ গড়ার লক্ষ্যে কোটা নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করে জরুরিভিত্তিতে সরকারি কর্ম কমিশন সচিবালয়সহ রাষ্ট্রীয় প্রশাসন স্বাধীনতা বিরোধীমুক্ত করতেও সরকারের প্রতি আহবান জানান।
নেতৃবৃন্দ বলেন, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য সরকারি কোটা থাকলেও এই কোটায় যোগ্যতার দোহাই দিয়ে ইচ্ছাপূর্বক মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের মৌখিক পরীক্ষা থেকে বাদ দিয়ে দেয় একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান প্রিলিমিনারী, লিখিত, মনস্তাত্বিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর তার আর কি যোগ্যতার প্রমান দিতে হবে? মৌখিক পরীক্ষা কখনোই যোগ্যতা যাচাইয়ের একমাত্র মানদন্ড হতে পারে না। বলা হয়, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান পাওয়া যায় না। অথচ এখনো লাখ লাখ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বেকারত্ব নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
সাজ্জাদ হোসেন/২২ জুলাই ২০১৭ ইং