রাজশাহী থেকে এম এ সৈয়দ তন্ময় :
পড়া লেখার যে কোন বয়স নেই তা প্রমান করেছেন রাজশাহী বোর্ডের জয়পুরহাটে একসঙ্গে এইচএসসি পাস করেছেন মা ও মেয়ে; যারা অষ্টম শ্রেণি থেকে একসঙ্গে লেখাপড়া করছেন।
রোববার প্রকাশিত ফলে জয়পুরহাট সরকারি কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ ৪ মেয়ে তানজিলা আফরিন ও পাঁচবিবি জেলার একটি কারিগরি কলেজ থেকে মা ইসমত আরা জিপিএ ৪ পেয়ে পাশ করেছেন।
জয়পুরহাট শহরের আদর্শপাড়া মহল্লার বাসিন্দা স্বেচ্ছা অবসরে যাওয়া জেলা জজ আদালতের সাবেক পেশকার জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী ইসমত আরা ও তাদের মেয়ে তানজিলা আফরিন। মা-মেয়ের আরও ভালো ফলাফলের আশা করলেও হতাশ হননি জাহাঙ্গীর আলম। স্ত্রী ও মেয়েকে এগিয়ে নিতে চেষ্টা অব্যাহত রাখবেন বলে জানান তিনি। ইসমত আরা বলেন, মেয়ে শুরু থেকেই মেধাবী। সব পরীক্ষায় ভালো ফলাফল নিয়ে জয়পুরহাট সরকারি কলেজে আর তিনি পাঁচবিবি উপজেলার আয়মা-জামালপুর টেকনিক্যাল কলেজে থেকে ভর্তি হন।
লোকলজ্জার ভয়ে গোপনে বোরখা পরে ক্লাসে গিয়েছি। তারপরও জানাজানি হলে ২/৪ জন টিপ্পনীও কেটেছেন। তারপরও পিছপা হইনি। লেখাপড়া শিখে একজন আইনজীবী হয়ে শুধু নির্যাতিত নারীদের পক্ষে আইনি লড়াই করে তাদের ন্যায় বিচার পাইয়ে দেওয়ার স্বপ্ন দেখেন ইসমত আরা।
ফলাফলে মা সন্তুষ্ট হলেও আরও ভালো ফলাফলের আশা করেছিলেন তানজিলা। তবে আগামীতে আরও ভালো ফলাফলের আশা করছেন তিনি। অষ্টম শ্রেণি থেকে মা-মেয়ে একই ক্লাসে পড়তেন মা-মেয়ে। এভাবে এসএসসি পর্যন্ত মা গোপনে আর মেয়ে স্বাভাবিক নিয়মে লেখাপড়া চালিয়ে যান বলে জানান জাহাঙ্গীর আলম।
আয়মা-জামালপুর টেকনিক্যাল কলেজের প্রভাষক কনক সরকার বলেন, “ছাত্রী ইসমত আরা আমিসহ প্রায় সকল শিক্ষকের চেয়ে বয়সে বড় হলেও তিনি সবাইকে সম্মান করেন এবং স্যার বলেই ডাকেন।
শেয়ানে শেয়ানে লড়াই এইচএসসিতে মেয়ে ৪ পয়েন্ট, মায়েরও ৪ পয়েন্ট

সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।