মিরপুরে এক যুবককে নৃশংস ভাবে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তর
রির্পোটার
মোঃ একরামুল হক মুন্সী
মিরপুরে মসজিদ পাড়া, খলিফার বাড়ীর, বাড়াটিয়া, আলমগীর হোসেন (২৪) নামে এক যুবককে নৃশংস ভাবে মাথায় এবং বুকে একাধিক গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা ।
এঘটনায় মিরপুর মডেল থানায় তার ভাই মাসুদ (৪৫)
১৫ জানুয়ারী ২০২১ইং ০১:১৫ ঘটিকায় উপস্থিত হইয়া ঘটনার স্থান ও সময় উল্লেখ করে একটি এজাহার দায়ের করেন ।
মিরপুর মডেল থানার মামলার নম্বর-২৯, তারিখ: ১৫/০১/২০২১, ধারা : ৩০২/৩৪ পেনালকোড-১৮৬০ পরস্পর যোগ সাজসে হত্যার অপরাধ। ১৪ জানুয়ারি ২০২১ ভোর অনুমান০৫-.০৬:৩০ঘটিকায়।মিরপুর মডেল থানাধীন কাইছা বাড়ী সাকি নস্থ রেজভী সাহেবের পরিত্যাক্ত বাংলো বাড়ী সংলগ্ন – ফাকাজমি, কাইছাবাড়ী ,ধামসোনা, মিরপুর, ঢাকা ,বাংলাদেশ ২কিমি, দক্ষিণ -পশ্চিমদিক, মৌজানং -৫৬৮, ইউপি- ০২ ।
তিনি এজাহারে উল্লেখ করেন আমার ভাই এক জন ব্যবসায়ি। প্রতিষ্ঠান থেকে বাসায় এসে রাতের খাবার শেষে রাত্র অনুমান ১১:০০ ঘটিকার সময় হাটাহাটি করিতে বাহিরে গেলে আর বাসায় ফিরে আসেনি ।
তিনি এজাহারে উল্লেখ করেন আমার ব্যবসায়ী পার্টনারদের সাথে টাকা নিয়ে ঝামেলা হচ্ছে কিছু দিন ধরে । আমাকে ব্যবসা থেকে সরে যেতে বলছে ।
যে তিন জনকে আসামি করে আলমগীরের ভাই এজাহার দায়ের করেন–
( ১) তারেক, পিতা- নূরইসলাম, সাং- হাইলামার, থানা- রায়পুর, জেলা- নরসিংদী।
(২) মোঃ লিটন, পিতা- মোঃ হামিম, সাং- মধুপুর, আকাইল্লাহ , হাজীর বাড়ীর, থানা- আশুলিয়া, জেলা- ঢাকা ।
(৩) মোঃ শহিদুল ইসলাম আকাশ, পিতা- মৃত মোঃ রুস্তুম আলী মৃধা ,সাং- আলগী, থানা- দুমকী, জেলা- পটুয়াখালী।
মৃত আলমগীরের ভাই মাসুদ সাংবাদিকদের বলেন –
ওরা আমার ভাইকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করেছে। এক জন মানুষের মধ্যে মনুষ্যত্ব থাকলে কখনো এ ভাবে কোনো মানুষকে হত্যা করতে পারেনা।
আমরা আইনের উপর আস্থারাখি । অভিযোগ করার পর হত্যা কারি সহ দু’জন কে পুলিশ এ্যারেস্ট করেছে , ঢাকার ভিন্ন জায়গা থেকে। পুলিশ আমাদের আশ্বস্ত করেছে অপরাধী যেই হোক তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।
মিরপুর মডেল থানার ওসি সাংবাদিকদের আলমগীর হত্যাকান্ডের প্রশ্নের জবাবে বলেন –
মামলার এজাহার দায়ের হওয়ার পরে তিন জনের মধ্যে দু’জনকে ধরতে পেরেছে ১-তারেক, ২-লিটন ।
প্রাথমিক ভাবে আসামিদের জিজ্ঞাসা বাদে যে তথ্য উঠে এসেছে সেখানে দেখা যায়, এজাহার কারি মাসুদ (৪৫) আসামি তারেক, লিটন, শহিদুল ইসলাম আকাশ, এর সথে ভাগে ব্যবসা করতো। তাদের ভিতরে বেশকিছু দিন ধরে টাকা পয়সা নিয়ে একটা ঝামেলা চলছিলো। এক পর্যায় তারা মাসুদকে ব্যবসা থেকে বাদ দেওয়ার সিন্ধান্ত নেয়।
আমারা এজাহার ভুক্ত আসামির মধ্যে দু’জনকে ধরতে পেরেছি। তারা প্রাথমিক জিজ্ঞাসা বাদে ঘটনার সত্যতা শিকার করে। তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আসামি শহিদুল ইসলাম আকাশ পলাতক রয়েছে। পুলিশ যেকোনো সময় তাকে এ্যারেস্ট করবে। এইঘটনার সাথে অন্য কেউ জড়িত আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অপরাধি যেই হোক না কেনো তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।