জুনায়েদ হোসেন,চট্টগ্রাম মহানগর প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় র্যাবের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় এক শ্রমিক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আহত হয়েছেন পাঁচ র্যাব সদস্য।
সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সুয়াবিল বারোমাসিয়া চা বাগানে মাদক বিরোধী অভিযানে গেলে এই হামলা হয় ।
র্যাবের দাবি, এ সময় হামলাকারীরা র্যাবের অস্ত্র লুটের চেষ্টা চালিয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পাঁচ জনকে আটক করেছে র্যাব।
হামলকারীরা মাদক কারবারির লোক দাবি করে র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এম এ ইউসুপ অভিযোগ করেন, নতুন বছরকে সামনে রেখে চা বাগানের ভেতরে বিপুল পরিমাণ দেশীয় মদ মজুত করা হয়। র্যাব ওই মদের কারখানা ধ্বংস করে আসার সময় মাদক কারবারির লোকজন র্যাবের ওপর হামলা চালায়। এতে র্যাবের পাঁচ সদস্য কমবেশি আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও র্যাব কর্মকর্তারা জানিয়েছেন,র্যাবের একটা দল সাদা পোষাকে বারোমাসিয়া চা বাগানের শ্রমিক ও বাংলা মদের কারবারি চিত্তরঞ্জন ও উজ্জলের চোরাই মদ তৈরীর কারখানা ধ্বংস করে মদ তৈরীর কারিগর রিপনকে আটক করে। পরে বিপ্লব নামের আরও এক মদ ব্যবসায়ীর কারখানায় অভিযান চালিয়ে তাকেও আটক করে। তাদেরকে গাড়িতে তোলার সময় ডাকাত এসেছে বলে ‘পাগলা ঘণ্টা’ বাজিয়ে দেয়। এ সময় মাদক কারবারিদের ভুল নির্দেশনার কারনে ১০০/১৫০ জন শ্রমিক ভুল বোঝা বুঝি থেকে র্যাবের ওপর হামলা চালায় ।
সংঘর্ষের সময় বাগানের শ্রমিকরা র্যাবের ব্যবহৃত একটি হায়েচ গাড়ি ও একটি প্রাইভেট কার ভাঙচুর করে। পরে বিপুল পরিমাণ পুলিশ ও র্যাব ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন র্যাব-৭এর উপ-পরিচালক মেহেদী হাসান,পুলিশের হাটহাজারী সার্কেলের সহকারী পুলিম সুপার শাহাদাত হোসেন ও ভূজপুর থানার ওসি হেলাল উদ্দিন ফারুকী
সুয়াবিল ইউনিয়ন পরিসদের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন জানান, মঙ্গল বার বিকাল পর্যন্ত বাগান এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিম সুপার এস এম রাশিদুল হক জানান,এখনও পর্যন্ত র্যাবের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে কোন অভিযোগ পাননি তারা ।