,


শিরোনাম:
«» ভারতের গণতন্ত্র রক্ষা ও ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতায় এক নতুন ভারতের উত্থান!! «» ভুল তথ্যে সংবাদ প্রকাশ করায় এনবিআর সদস্য কায়কোবাদের প্রতিবাদ «» অনন্যা সাহা (স্বাতী) ৩২তম জন্মদিন। «» বৈষম্যবিরোধীদের ওপর অতর্কিত হামলা, আইসিইউতে ২ ছাত্রী «» হিন্দুদের সরকারি চাকরি থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগ নিয়ে মুখ খুলল ইউনুসের সরকার, বলল… «» নতুন আঙ্গিকে আরো সু-পরিসরে ব্রাদার্স ফার্নিচার লি: এর শো-রুম এখন বরিশাল «» উদ্যোক্তা হাটের ২০২৪ এওয়ার্ড প্রদান «» উত্তরা ব্যাংকের এমডি রবিউল ইসলামের অপসারণ ও পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন। «» ধর্মনিরপেক্ষতা খারিজের পক্ষে ইউনূস সরকার «» ভন্ডপীর সাঈদ আনোয়ার মোবারকী বাবুর বিরুদ্ধে মানববন্দন ও প্রতিবাদ সমাবেশ।

ভারতের গণতন্ত্র রক্ষা ও ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতায় এক নতুন ভারতের উত্থান!!

ভারতের গণতন্ত্র রক্ষা ও ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতায় এক নতুন ভারতের উত্থান!!

ভারত আজ বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে এক গৌরবোজ্জ্বল অবস্থানে রয়েছে। অথচ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রাজনৈতিক মেরুকরণ, ধর্মীয় উগ্রতা ও সামাজিক অস্থিরতা দেশটির গণতন্ত্রের ভিতকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে। এই প্রেক্ষাপটে গণতন্ত্র রক্ষা ও দেশের সার্বিক অগ্রগতির জন্য কিছু সময়োপযোগী ও সাহসী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা অত্যন্ত প্রয়োজন।

#গণতন্ত্র রক্ষায় জরুরি চারটি মূল পদক্ষেপ

১. ওয়াকফ বোর্ড আইনে স্থায়ী কাঠামো ও কঠোর নিয়ন্ত্রণ।

ভারতে ওয়াকফ বোর্ডের অধীনে পরিচালিত জমির পরিমাণ বিপুল, তবে এর ব্যবস্থাপনায় দুর্নীতি, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ও অনিয়মের অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরেই রয়েছে। এই দুর্বলতা গণতান্ত্রিক স্বচ্ছতার জন্য হুমকি।

– ওয়াকফ বোর্ড আইনে এমন কড়াকড়ি ও স্থায়ী কাঠামো গঠন করা উচিত যা সরকার পরিবর্তনের প্রভাব থেকে মুক্ত থাকবে।
– আইনটির অপব্যবহার যেন কেউ করতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজন কঠোর নজরদারি ও নিরপেক্ষ অডিটিং ব্যবস্থা।

২. “এক দেশ, এক আইন” – আইনি সমতা নিশ্চিত করা।

গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি সমতা। অথচ ভারতে ধর্ম, সম্প্রদায় বা লিঙ্গভেদে ভিন্ন আইন প্রযোজ্য হওয়ায় আইনি বৈষম্য তৈরি হয়েছে।

এক দেশ, এক আইন’ নীতি বাস্তবায়ন করতে হবে, যাতে সকল নাগরিক সমানভাবে আইনের আওতায় থাকে।এটি জাতীয় ঐক্য, আইনি ন্যায়বিচার ও গণতান্ত্রিক শক্তিকে দৃঢ় করবে।

৩. বাধ্যতামূলক বায়োমেট্রিক রেসিডেন্ট কার্ড ও বিদেশি শিকড়ের উল্লেখ**

বর্তমানে আধার কার্ড থাকা সত্ত্বেও নাগরিক পরিচয় সুনিশ্চিত করার ক্ষেত্রে ফাঁক রয়ে গেছে। এর ফলে নিরাপত্তা সংকট, জালিয়াতি ও অবৈধ অনুপ্রবেশ ঘটছে।
প্রত্যেক ভারতীয় নাগরিকের জন্য উন্নত বায়োমেট্রিক রেসিডেন্ট কার্ড চালু করতে হবে, যাতে থাকবে রেটিনা স্ক্যান, আঙুলের ছাপ ও নিরাপত্তা কোড।
– পাশাপাশি নাগরিক তথ্যপত্রে তার বিদেশি শিকড় (যদি থাকে) উল্লেখ বাধ্যতামূলক করা উচিত। যেমন – “ইন্ডিয়ান বাংলাদেশী”, “ইন্ডিয়ান পাকিস্তানি” ইত্যাদি।

৪. আন্তর্জাতিক হিন্দু ঐক্য জোট গঠন

ভারত হিন্দু সভ্যতার প্রাণকেন্দ্র। অথচ বিশ্বজুড়ে হিন্দুদের সংস্কৃতি ও ধর্মীয় পরিচয় নানা চাপের মুখে। এই পরিস্থিতিতে প্রয়োজন বিশ্বব্যাপী ঐক্য ও সহমর্মিতা।
একটি আন্তর্জাতিক হিন্দু এলায়েন্স গঠন করা, যেখানে বিশ্বের হিন্দু সম্প্রদায়গুলোর মধ্যে সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় ও সামাজিক সংহতি গড়ে তোলা হবে।
এই জোট হিন্দু অস্তিত্ব ও ঐতিহ্য সংরক্ষণের পাশাপাশি বিশ্বমঞ্চে ভারসাম্যপূর্ণ বার্তা দেবে।

 

# নতুন ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতায় ভারতের অবস্থান।

বিশ্ব এখন একবহুমুখী রাজনৈতিক বাস্তবতায় প্রবেশ করেছে। এই পরিবর্তনশীল দুনিয়ায় ভারত উদীয়মান শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছে – শুধু দক্ষিণ এশিয়ায় নয়, বরং বৈশ্বিক নেতৃত্বেও ভারতের অংশগ্রহণ ক্রমাগত বাড়ছে।

১. অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও আত্মবিশ্বাস

ভারত এখন বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি। কোভিড পরবর্তী বিশ্বে, যেখানে অনেক দেশ মন্দার শিকার, সেখানে ভারত স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধি ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ বজায় রেখেছে।

*উদ্যোগসমূহ:*

ডিজিটাল ইন্ডিয়া, মেক ইন ইন্ডিয়া, স্টার্টআপ ইন্ডিয়া, ইত্যাদি কর্মসূচির ফলে বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীরা এখন ভারতের প্রতি আগ্রহী।
– চীনের বিকল্প উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে ভারত একটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে পৌঁছেছে।

#কৌশলগত ভারসাম্য: বন্ধুত্ব, কিন্তু শর্তহীন নয়**

ভারতের কূটনীতিতে এখন ভারসাম্য ও কৌশলের ছাপ স্পষ্ট। রাশিয়া, আমেরিকা, চীন, আরব রাষ্ট্র – সবার সঙ্গে নিজস্ব শর্তে সম্পর্ক বজায় রেখে ভারত এক পরিণত রাষ্ট্রের পরিচয় দিচ্ছে।

#আত্মনির্ভর প্রতিরক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে অগ্রগতি**

ভারত এখন নিজের প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম তৈরি করছে, স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করছে, সাইবার নিরাপত্তায় জোর দিচ্ছে।

# মূল প্রতিষ্ঠান:
– ইসরো (ISRO), ডিআরডিও (DRDO), ও বেসরকারি প্রযুক্তি সংস্থাগুলো ভারতের প্রযুক্তিগত সক্ষমতাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছে।

# সফটপাওয়ার: সংস্কৃতি, যোগ, ও মানবিক বার্তা**

ভারতের অন্যতম শক্তি হলো তার ‘সফট পাওয়ার’। বিশ্বের নানা প্রান্তে বলিউড, যোগ, আয়ুর্বেদ, ভারতীয় সংগীত ও সাহিত্যের জনপ্রিয়তা ভারতকে এক আলাদা মর্যাদা দিয়েছে।

# বৈচিত্র্যের মাঝে ঐক্যের বার্তা**

ভারত বহু ধর্ম, জাতি, ও ভাষার দেশ হয়েও এক ঐক্যবদ্ধ পরিচয় গড়ে তুলেছে। এই বৈচিত্র্যই ভারতের সবচেয়ে বড় শক্তি। বিশ্ব যখন বিভাজনের পথে, ভারত তখন ঐক্যের প্রতীক হয়ে উঠছে।

# ভবিষ্যতের ভারত – নেতৃত্বের প্রতীক

আজকের ভারত কেবল একটি রাষ্ট্র নয় – এটি এক দৃষ্টিভঙ্গি, যা গণতন্ত্র, সংস্কৃতি ও নেতৃত্বের নতুন সংজ্ঞা তৈরি করছে। যদি এই সময়োপযোগী সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়ন করা যায়, তবে ভারত কেবল দক্ষিণ এশিয়ায় নয়, গোটা বিশ্বেই হতে পারে নেতৃত্বের প্রতীক।

গণতন্ত্র ও নেতৃত্ব – এক নতুন ভারতের পরিচয় গড়ে তুলছে ভবিষ্যতের পৃথিবী।”

বহ্নি চক্রবর্তী
Bohnni Chakrabortty ✍️

Share Button
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।
ঘোষনাঃ