বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পাটির উদ্যোগে কুরবানীর ত্যাগের শিক্ষা সবস্তরে বাস্তবায়ন শীষক আলোচনা ও ঈদ পূণমিলনী অনুষ্ঠান
বিশেষ প্রতিনিধিঃ
বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির উদ্যোগে ১৩ জুলাই ২০২৩ইং বৃহস্পতিবার পাটির সভাপতি মাওলানা ওবায়দুল হকের সভাপতিত্বে কুরবানীর ত্যাগের শিক্ষা সবস্তরে বাস্তবায়ন শীষক আলোচনা ও ঈদ পূণমিলনী অনুষ্ঠিত হয়।পাটির সভাপতি মাওলানা ওবায়দুল হকের সভাপতিত্বেআলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ওয়াল্ড মিডিয়া ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো: দেলোয়ার হোসন, রিপাবলিকান পাটির সভাপতি মো: বাজলুর রহমান আমিনি, বাংলাদেশ গনতান্ত্রিক আন্দোলনের চেয়ারম্যান জাফরুল্লাহ চেীধুরী, বাংলাদেশ মানবতাবাদী পাটির সভাপতি মুফতি অঅভধূর মজিদ, ইসলামি সমাজতান্ত্রিক পাটির সভাপতি ইঞ্জি: হাফিজুর রহমান, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ব আফজালুর রহমান ভূইয়া তামজিদ, আব্দুল সবুর আলী , নেজামে ইসলাম পাটির সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো: সাকিব ,ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক মো: হাসান ইমাম, মো: শাহ আলম, মো: আশরাফ হোসেন, সাংবাদিক মো: হাসিবুল হাসান, ।
পার্টির সভাপতি মাওলানা ওবায়দুল হক বলেন, ইসলামী বিধান কোরবানির মাংস আল্লাহর কাছে পৌঁছায় না, পৌঁছায় শুধু নিষ্ঠাপূর্ণ আল্লাহ ভীতি । আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কোরবানি করা হয় সাথে সাথে মানুষের ভিতরের পশুত্ব (পাপাচার )দুর করার জন্য সারাবছর দূণীতি ,মাদক, সকল পাপচার থেকে মুক্ত হতে আলাহর নিদেশনা মেনে চললে দেশে শান্তিতে বসবাস করা যাবে। বাংলাদেশকে উন্নত দেশ , শান্তিপূণ করতে হলে ইসলামী বিধান কুরবানির ত্যাগের শিক্ষা সবস্তরে বাস্তবায়ন করতে হবে । ইসলামী বিধান রাষ্ট্রিয়ভাবে মেনে চলার ব্যবস্থা থাকলে দেশে ধনী গরীবের ব্যবধান কমানোসহ মাদক, ধর্ষণ, দূর্নীতি,টাকা পাচারসহ যাবতীয় সমস্যার সমাধান সম্ভব হবে ।
পাটির সভাপতি বলেন, কুরবানী আল্লাহকে সন্তুষ্টি করার জন্য পালন করা হয় মুসলমানদের প্রতিদিন সব কাজ আল্লাহকে সন্তুষ্টি করার জন্য করতে হবে । এজন্য আলেম –ওলামাদের মানুষের মাঝে সচেতনতা তৈরী করতে হবে।
আলোচনা ও ঈদ পূণমিলনীতে বক্তারা বলেন, সামর্থবান ব্যাক্তিরা কুরবানীতে সমাজের সামর্থহীন ব্যাক্তিদের মাংস দেওয়ার মাধ্যমে ধনী-গরীবের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয় । ইসলামী বিধান কুরবানীর মাধ্যমে গরীবরা মাংস পেয়ে আনন্দিত হয়ে থাকে। আল কোরআনে বলা হয়েছে ,তুমি তোমার প্রতিপালকের জন্যেই নামাজ পড় ও কোরবানি দাও। বতমান দেশের রাজনৈতিক অচলাবস্থা দুর করতে হলে মহান আল্লাহর নিদেশনা মোতাবেক ইসলামী চেতনা অনুসারে আসন্ন নিবাচন সুষ্ঠু করতে হলে দল-মতনিবিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
আলোচনা ও ঈদ পূণমিলনীতে অন্যান্য বক্তারা বলেন,কুরবানি অর্থ হলো- নৈকট্য লাভ করা, প্রিয় বস্তুকে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য উৎসর্গ করা।কুরবানী মূলত নিজের নফস তথা কুপ্রবৃত্তিকে কুরবানী করার প্রতীক। কুরবানীর স্বার্থকতা হলো সকল প্রকার লোভ-লালসা, পার্থিব স্বার্থপরতা ও ইন্দ্রিয় কামনা-বাসনার জৈবিক চাহিদা হতে মুক্ত ও পবিত্র হতে শিক্ষা দেয়।তাই পশুর গলায় ছুরি চালানোর মতো যাবতীয় পাপ-পঙ্কিলতা, কুফর, শিরক, হিংসা-বিদ্বেষ, ক্রোধ, রিয়া, পরচর্চা-পরনিন্দা, পরশ্রীকাতরতা, আত্মগর্ব, আত্মঅহংকার, কৃপণতা, ধনলিপ্সা দুর করতে হবে ।কুরবানির ত্যাগের শিক্ষা সারা বছর চর্চা করতে হবে।