,


শিরোনাম:
«» ভুল তথ্যে সংবাদ প্রকাশ করায় এনবিআর সদস্য কায়কোবাদের প্রতিবাদ «» অনন্যা সাহা (স্বাতী) ৩২তম জন্মদিন। «» বৈষম্যবিরোধীদের ওপর অতর্কিত হামলা, আইসিইউতে ২ ছাত্রী «» হিন্দুদের সরকারি চাকরি থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগ নিয়ে মুখ খুলল ইউনুসের সরকার, বলল… «» নতুন আঙ্গিকে আরো সু-পরিসরে ব্রাদার্স ফার্নিচার লি: এর শো-রুম এখন বরিশাল «» উদ্যোক্তা হাটের ২০২৪ এওয়ার্ড প্রদান «» উত্তরা ব্যাংকের এমডি রবিউল ইসলামের অপসারণ ও পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন। «» ধর্মনিরপেক্ষতা খারিজের পক্ষে ইউনূস সরকার «» ভন্ডপীর সাঈদ আনোয়ার মোবারকী বাবুর বিরুদ্ধে মানববন্দন ও প্রতিবাদ সমাবেশ। «» গাইবান্ধায় ভুয়া প্রেসক্লাব খুলে কথিত সাংবাদিকরা হেনাস্তা করছে সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী ও ব্যবসায়ীদের

বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবর্তনে কি ভাবছেন বিজেপি নেতা রজত মুর্খাজি

বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবর্তনে কি ভাবছেন বিজেপি নেতা রজত মুর্খাজি।

নিজস্ব প্রতিবেদনঃ
রজত ভরদ্বাজ মুর্খাজী। বঙ্গ বিজেপির পরিচিত মুখ। বঙ্গ বিজেপির বিদেশ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত হিসাবে বাংলাদেশেও লাভ করেছেন ব্যাপক পরিচিতি। ৫ আগস্ট বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর দেশত্যাগের মাধ্যমে নানা নাটকীয় মাধ্যমে এখানে সরকার পরিবর্তনে সবাই এখন তাকিয়ে আছেন দিল্লীর দিকে। সেই সূত্রে এই বিজেপির নেতার ফেসবুক প্রোফাইল, লাইভে ভিড় জমাচ্ছেন উতসুক বাংলাদেশীরা। সবার মনের নানান প্রশ্নের উত্তর খুজে চলেছেন এই নেতার স্যেশাল মিডিয়াতে।
সাধারণ জনতার এই মনের কথা জানতে দৈনিক স্বদেশ বার্তা কড়া নেড়েছিল রজত বাবুর দরজায়। ফোনালাপে আমরাও জানার চেষ্টা করেছিলাম ঘনিষ্টতম প্রতিবেশী দেশের এই আকস্মিক পরিবর্তনে কি ভাবছে তার সরকার? ওনিও কোন প্রকার কূটনৈতিকতার ধার না ধেরে কিংবা রাজনৈতিক জটিলতা ছাড়াই উত্তর করেছিলেন খুবই সহজ ভাবে।
নতুন সরকারের সাথে ভারত সরকারের সম্পর্ক কেমন হতে পারে সে ব্যাপারে উত্তর করেছেন সোজাসাপ্টা। জানাচ্ছেন যে, মুক্তিযুদ্ধাকালীন সময় থেকে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাথে ভারত সরকারের নিবিড় সম্পর্ক। তাই সেই সরকারের এমন পতন নিশ্চিত ভাবে তাদেরকেও দুঃখিত করে। তবে ভারত সরকার শুধুমাত্র একটা নির্দিষ্ট দল বা গোষ্ঠীর সাথে সম্পর্কে বিশ্বাসী নয়। তারা বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণের সাথে সুসম্পর্কে আস্থাবান। বাংলাদেশের জনগণের রায়ের প্রতি তাদের অতল শ্রদ্ধা রয়েছে। বাংলাদেশের জনসাধারণ যেভাবে ভাল থাকতে চায় সেই ভাল থাকার সাথে ভারত সরকার সর্বদাই তাদের পাশে থাকতে আগ্রহী। একজন নোবেল জয়ী মহাম্মদ ইউনুস সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করায় ইতিমধ্যে ভারত সরকার তাকে স্বাগত জানিয়েছে। তারা নতুন সরকারের সাথে বরাবরের মত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে আগ্রহী।
একটা পক্ষ ভারতবিরোধী বিশেষ করে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাতটা রাজ্য যা সেভেন সিস্টার্স নামে খ্যাত সেটা নিয়ে নানাবিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। এ বিষয়ে উনি বলেন, একটা নতুন সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করেছে। তাদের অভিজ্ঞতার নানা ঘাটতি আছে। ভারত সরকারের সাথেও তাদের সম্পর্কটা এখনও পরিণতি পায়নি। ফলে এমতাবস্থায় অনেকেই নানান কথা বলে ঘোলা জলে মাছ শিকারের চেষ্টা করবেন বলে তার মন্তব্য। এসব ব্যাপারে ভারত সরকার চিরায়ত কূটনৈতিক পরিভাষার উত্তর করবেন বলে তার মন্তব্য। ভারত সরকার লোককখায় কান দেন বলে উনি মনে করেন। তবে উনি বলেন যে, নতুন সরকারকে অবশ্যই ভারতপন্থী এমন বিশেষ অভিধা নিতে হবে এমন নয়। তবে তাদের অবশ্যই প্রতিবেশীর মর্যাদা সম্পর্কে বুজতে হবে। সেই ভাবেই কূটনৈতিক শিষ্টাচার বজায় রাখা উচিত বলে উনি মনে করেন।

পরিস্থিতিরে পরিবর্তনে সর্বদাই দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েন। এবিষয়ে উনি বলেন আকস্মিক রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে পুরো দেশটাই টালমাটাল হয়ে পড়ে। আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী নেতারাই যেখানে নানান চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। সেখানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় যে বিপন্নবোধ করবে সেটাই স্বাভাবিক। তবে উনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে নতুন সরকার দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে সবার নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে জনমনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনবেন বলে উনি বিশ্বাস করেন। প্রতিবেশী দেশটি তার অর্জিত মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় চলবেন বলে আস্থা রাখতে চান।

Share Button
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।
ঘোষনাঃ