আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে গণমানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশন গঠন আইন এক অনন্য মাইল ফলক হিসেবে বিবেচিত হবে। এ আইন প্রণয়নের মধ্যদিয়ে দেশ গনন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিক রুপ দিতে আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে।
বৃষ্হপতিবার (২৭জানুয়ারী) জাতীয় সংসদে জনগনের বহুল প্রত্যাসিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেওয়া সংবিধানের অভিপ্রায় অনুযায়ী দেশের পঞ্চাশ বছর পর প্রধান নির্বাচন কমিমনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল পাশ হওয়ায় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সংসদ নেতাসহ জাতীয় সংসদের সব সদস্যদের প্রতি আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান ওবায়দুল কাদের।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের সংবিধানের আলোকে গণতন্ত্র ও জনমানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে অঙ্গীকারবদ্ধ উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশে শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন ও নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালীকরণে আওয়াম লীগের সাধারন সম্পাদক বলেন ,সংবিধানের আলোকে সম্পূর্ন গনতান্ত্রীক প্রক্রিয়ায় দেশের জনগনের ভোটাধিকার রক্ষার জন্য স্বাধীন,নিরপেক্ষ ও শক্তিশালী এবং সবার কাছে গ্রহন য়োগ্য নির্বাচন কমিশন গঠনে এ আইন অত্যন্ত কার্করী ভূমিকা রাখবে ।
জনগণের ভোটে নির্বাচিত সব জনপ্রতিনিধিদের দ্বারা প্রণীত এ আইনকে দেশের একটি চিহ্নিত মহল অসৎ রাজনৈতিক উদ্দেশে ‘গ্রহণযোগ্য নয়’ বলে যে মন্তব্য করেছেন সে প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, গভীর উদ্বেগের সঙ্গে বিএনপি মহাসচিব কমিশনার নিয়োগের এ আইন না মানার বিষয়ে তিনি দুরভিসন্ধিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। তবে, যে দল বা ব্যক্তি দেশের জনগণের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের স্বার্থের বিরুদ্ধে কোটি কোটি ডলার খরচ করে ষড়যন্ত্রের লবিষ্ট নিয়োগ করেন। বিএনপি মহাসচিব দেশবিরোধী, মুক্তিযুদ্ধের পরিপন্থি গণধিকৃত গোষ্ঠীর প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচন কমিশন গঠনের আইনের বিরুদ্ধে যে বক্তব্য রেখেছে— তা দেশের গণতন্ত্র, জাতীয় সংসদের সব সদস্য ও দেশের সংবিধান এবং আইনের শাসনের প্রতি নির্মম উপহাস ছাড়া আর কিছু নয়। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ আইনকে বির্তকিত ও প্রশ্নবিদ্ধ করতে মিথ্যা বা বিভ্রান্তি মূলক মনগড়া বক্তব্য প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের আইন ও সংবিধানের প্রতি বি এন পির কোন বিশ্বাস নেই। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি লবিস্ট নিয়োগের বিষয়টি মির্জা ফখরুল নিজ মুখেই স্বীকার করেছেন। শুধু তাই নয়, বিএনপি মহাসচিব দেশের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা নিতে মার্কিন প্রশাসনের রাজনৈতিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে চিঠি দিয়েছেন। যা জাতির জন্য অত্যন্ত লজ্জার বিষয়।’
বিএনপি এবং মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জাতির কাছে স্পষ্ট করতে হবে, তারা কাদের দেওয়া টাকায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট নিয়োগ করেছেন? বাংলাদেশ থেকে এ অর্থ কোন চ্যানেলে বিদেশে পাচার করা হয়েছে? তার হিসাব কি বিএনপি নির্বাচন কমিশনের কাছে দিয়েছেন? ওবায়দুল কাদের বিএনপি মহাসচিবের কাছে এত সব প্রশ্নের জবাব দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, তা না পারলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বাংলাদেশের রাজনীতি করার কোনো নৈতিক ও আইনগত অধিকার থাকবে না।