,


শিরোনাম:
«» হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন- রজত ভরদ্বাজ মুখার্জি, ভারতীয় জনতা পার্টি। «» ভারতের গণতন্ত্র রক্ষা ও ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতায় এক নতুন ভারতের উত্থান!! «» ভুল তথ্যে সংবাদ প্রকাশ করায় এনবিআর সদস্য কায়কোবাদের প্রতিবাদ «» অনন্যা সাহা (স্বাতী) ৩২তম জন্মদিন। «» বৈষম্যবিরোধীদের ওপর অতর্কিত হামলা, আইসিইউতে ২ ছাত্রী «» হিন্দুদের সরকারি চাকরি থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগ নিয়ে মুখ খুলল ইউনুসের সরকার, বলল… «» নতুন আঙ্গিকে আরো সু-পরিসরে ব্রাদার্স ফার্নিচার লি: এর শো-রুম এখন বরিশাল «» উদ্যোক্তা হাটের ২০২৪ এওয়ার্ড প্রদান «» উত্তরা ব্যাংকের এমডি রবিউল ইসলামের অপসারণ ও পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন। «» ধর্মনিরপেক্ষতা খারিজের পক্ষে ইউনূস সরকার

বাঁচার আর্তনাদ চিতলমারীতে ছুরিকাঘাতে নিহত রফিকের পরিবার

বাঁচার আর্তনাদ চিতলমারীতে ছুরিকাঘাতে নিহত রফিকের পরিবার। 

রির্পোটার

মোঃ ইসমাইল হোসেন

কি আপরাধ ছিল আমার স্বামীর? আমরাতো কারো ক্ষতি করিনি। কেন আমার স্বামীকে এমন নির্মম ভাবে হত্যা করা হল? এখন কি উপায় হবে আমাদের বেঁচে থাকার। সন্তানদের নিয়ে কোথায় গিয়ে দাঁড়াব?’ এভাবে স্বামীকে হারিয়ে বিলাপ করছিলেন, বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার পাটরপাড়া গ্রামের ছুরিকাঘাতে নিহত ইজিবাইক চালক রফিকের স্ত্রী হালিমা আক্তার। তিনি স্বামী হত্যার সাথে জড়িত আসামী রিয়াজ শেখের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি দাবি করেন ও সন্তানদের নিয়ে বেঁচে থাকার জন্য সরকার ও বিত্তবানদের সহায়তা কামনা করেছেন।নিহত রফিকের শ্যালক পাটরপাড়া গ্রামের রবিউল ইসলাম জানান, গত ১১ জুন রোববার দুপুরে তার ভগ্নিপতি রফিক খান ইজিবাইক নিয়ে চিতলমারী সদরবাজারস্থ ব্রিজের কাছে দাঁড়িয়ে ছিলেন।

এ সময় উপজেলার আড়য়াবর্ণি গ্রামের মৃত আকরাম শেখের ছেলে রিয়াজ শেখ ওরফে সম্রাট অতর্কিতভাবে লোকজনের উপর হামলা চালায়। অনেককে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এ সময় ইজিবাইক চালক রফিক খান প্রতিবাদ জানালে রিয়াজ শেখ তাকে উপর্যপুরি শরীরের বিভিন্নস্থানে ছুরিকাঘাত করে ফেলে চলে যায়। গুরুতর অবস্থায় রফিককে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এখন কিভাবে রফিকের সংসার চলবে সেটি ভেবে কোন কুল-কিানারা পাচ্ছেন না পরিবারের লোকজন। বৃদ্ধ মা-বাবা ও স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছে তার। এনজিও থেকে কিস্তির টাকা তুলে ইজিবাইক কিনে সেটি চালিয়ে সংসার চলত রফিকের। এখন রফিকের মৃত্যুতে তার পরিবারের বেঁচে থাকার কোন পথ নেই বলেও তিনি হতাশা ব্যক্ত করেন।

পাটরপাড়া গ্রামের ইউসুফ বিশ্বাস জানান, রফিক খানকে কোনদিন কারো সাথে কোন বিরোধ করতে দেখিনি।একজন নীরিহ প্রকৃতির লোক ছিলেন তিনি। ইজিবাইক চালিয়ে কোন রকম সংসার চলত তার। কোন সহায় সম্পত্তি নেই। বাড়িতে একটু থাকার ঘরছাড়া কাউকে কবর দেওয়ার জায়গাটুকু পর্যন্ত নেই। এখন তার স্ত্রী সন্তানদের বেঁচে থাকার আর কোন অবলম্বন নেই।

Share Button
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।
ঘোষনাঃ