রির্পোটার
মোঃ ইসমাইল হোসেন
কি আপরাধ ছিল আমার স্বামীর? আমরাতো কারো ক্ষতি করিনি। কেন আমার স্বামীকে এমন নির্মম ভাবে হত্যা করা হল? এখন কি উপায় হবে আমাদের বেঁচে থাকার। সন্তানদের নিয়ে কোথায় গিয়ে দাঁড়াব?’ এভাবে স্বামীকে হারিয়ে বিলাপ করছিলেন, বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার পাটরপাড়া গ্রামের ছুরিকাঘাতে নিহত ইজিবাইক চালক রফিকের স্ত্রী হালিমা আক্তার। তিনি স্বামী হত্যার সাথে জড়িত আসামী রিয়াজ শেখের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি দাবি করেন ও সন্তানদের নিয়ে বেঁচে থাকার জন্য সরকার ও বিত্তবানদের সহায়তা কামনা করেছেন।নিহত রফিকের শ্যালক পাটরপাড়া গ্রামের রবিউল ইসলাম জানান, গত ১১ জুন রোববার দুপুরে তার ভগ্নিপতি রফিক খান ইজিবাইক নিয়ে চিতলমারী সদরবাজারস্থ ব্রিজের কাছে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
এ সময় উপজেলার আড়য়াবর্ণি গ্রামের মৃত আকরাম শেখের ছেলে রিয়াজ শেখ ওরফে সম্রাট অতর্কিতভাবে লোকজনের উপর হামলা চালায়। অনেককে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এ সময় ইজিবাইক চালক রফিক খান প্রতিবাদ জানালে রিয়াজ শেখ তাকে উপর্যপুরি শরীরের বিভিন্নস্থানে ছুরিকাঘাত করে ফেলে চলে যায়। গুরুতর অবস্থায় রফিককে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এখন কিভাবে রফিকের সংসার চলবে সেটি ভেবে কোন কুল-কিানারা পাচ্ছেন না পরিবারের লোকজন। বৃদ্ধ মা-বাবা ও স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছে তার। এনজিও থেকে কিস্তির টাকা তুলে ইজিবাইক কিনে সেটি চালিয়ে সংসার চলত রফিকের। এখন রফিকের মৃত্যুতে তার পরিবারের বেঁচে থাকার কোন পথ নেই বলেও তিনি হতাশা ব্যক্ত করেন।
পাটরপাড়া গ্রামের ইউসুফ বিশ্বাস জানান, রফিক খানকে কোনদিন কারো সাথে কোন বিরোধ করতে দেখিনি।একজন নীরিহ প্রকৃতির লোক ছিলেন তিনি। ইজিবাইক চালিয়ে কোন রকম সংসার চলত তার। কোন সহায় সম্পত্তি নেই। বাড়িতে একটু থাকার ঘরছাড়া কাউকে কবর দেওয়ার জায়গাটুকু পর্যন্ত নেই। এখন তার স্ত্রী সন্তানদের বেঁচে থাকার আর কোন অবলম্বন নেই।