,


শিরোনাম:
«» ভুল তথ্যে সংবাদ প্রকাশ করায় এনবিআর সদস্য কায়কোবাদের প্রতিবাদ «» অনন্যা সাহা (স্বাতী) ৩২তম জন্মদিন। «» বৈষম্যবিরোধীদের ওপর অতর্কিত হামলা, আইসিইউতে ২ ছাত্রী «» হিন্দুদের সরকারি চাকরি থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগ নিয়ে মুখ খুলল ইউনুসের সরকার, বলল… «» নতুন আঙ্গিকে আরো সু-পরিসরে ব্রাদার্স ফার্নিচার লি: এর শো-রুম এখন বরিশাল «» উদ্যোক্তা হাটের ২০২৪ এওয়ার্ড প্রদান «» উত্তরা ব্যাংকের এমডি রবিউল ইসলামের অপসারণ ও পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন। «» ধর্মনিরপেক্ষতা খারিজের পক্ষে ইউনূস সরকার «» ভন্ডপীর সাঈদ আনোয়ার মোবারকী বাবুর বিরুদ্ধে মানববন্দন ও প্রতিবাদ সমাবেশ। «» গাইবান্ধায় ভুয়া প্রেসক্লাব খুলে কথিত সাংবাদিকরা হেনাস্তা করছে সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী ও ব্যবসায়ীদের

পলাশবাড়ীর কিশোর বাদলের বিষ পানে আত্মহত্যা,নাকি পরিকল্পিত হত্যা রহস্য উদঘাটনে পুলিশ।

পলাশবাড়ীর কিশোর বাদলের বিষ পানে আত্মহত্যা,নাকি পরিকল্পিত হত্যা রহস্য উদঘাটনে পুলিশ।
মোহন সরকার:গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী পৌর শহরের গৃধারীপুর গ্রামের বাসিন্দা দরিদ্র কর্মঅক্ষম মোহাম্মাদ ও বেলী বেগমের ৪ নাম্বার সন্তান বাদল (১৬) নামে এক শ্রমজীবী কিশোরের মৃত্যুতে গভীর রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।
পরিবারের দাবী অভিযুক্ত সাহারুল ইসলাম ও অজ্ঞাত এক নারী কর্তৃক জোড় পূর্বক পানীয় জাতীয় খাবারের মধ্যে ট্যাবলেট জাতীয় বিষাক্ত কোন দ্রব্য মিশিয়ে কিশোর বাদল কে খাওয়ানো হয়েছে। এঘটনায় বাদলের পরিবার পক্ষ হতে পলাশবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা অভিযোগ দায়ের প্রস্তুতি চলছে।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা যায়,নিহত কিশোর বাদল (১৬) অসহায় ও কর্মঅক্ষম বাবা মায়ের একমাত্র সম্বল। কিশোর বাদল একটি চিড়ার  মিলে কর্মচারি হিসাবে কাজ করতো।এ শ্রমের বিনিময়ে পাওয়া অর্থ দিয়ে চলতো বাবা,মা ও এক ছোট বোনকে নিয়ে কিশোর বাদলের পরিবার।
গতকাল ৩ আগস্ট বৃহঃবার চিড়ার মিল হতে কাজ শেষ করে বিকালে বাড়ী ফেরার পথে অভিযুক্ত সাহারুল ইসলাম ঠান্ডা জাতীয় কোমল পানীর সাথে বিষাক্ত ট্যাবলেট মিশিয়ে জোড় পূর্বক কিশোর বাদলকে খাওয়া ছেড়ে দেয়। এরপর কিশোর বাদল বাড়ীতে গিয়ে অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। এমনবস্থায় পরিবার কিশোর বাদল কে রাতে পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসীন অবস্থায় নিহত হয় শ্রমজীবী কিশোর বাদল।
অভিযুক্ত সাহারুল ইসলাম পৌর এলাকার গৃধারীপুর গ্রামেন চকপাড়ার চাতাল ও তুলা মিল ব্যবসায়ি আবু মিয় ছেলে।এবিষয়ে তার সাথে কথা বলতে সাহারুল ইসলামের বাড়ীতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে তার কোন বক্তব্যও পাওয়া যায়নি। বা সাহারুল ইসলামের পরিবার কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
এ বিষয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ আরজু মো: সাজ্জাদ হোসেন জানান,এঘটনায় পরিবারের পক্ষে হতে এখনো থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। তবে কিশোর বাদলের মরদেহ হাসপাতাল হতে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে, ময়না তদন্ত শেষে জানা যাবে ঘটনার মূল রহস্য।
Share Button
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।
ঘোষনাঃ