নিজস্ব প্রতিবেদক: পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড গণহত্যার সামিল বলে মন্তব্য করেছেন যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ। সেই সঙ্গে এ হত্যা কাণ্ডের মাস্টার মাইন্ডদের ও বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি । সোমবার (১ আগস্ট) সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে কোরআন খতম, দোয়া মাহফিল এবং অসহায় ও দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি । অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলসহ অনেকে । পরশ বলেন, ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ড থেকে পরিত্রাণ পায়নি ৪ বছরের শিশু সুকান্ত বাবু, ১০ বছরের শিশু শেখ রাসেল ও আরিফ সেরনিয়াবাত। রক্ষা পায় নাই মহিয়সী নারী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ও অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ আমার মা আরজু মণি সেরনিয়াবাতসহ নিরীহ অবলা নারী সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল। এই হত্যাকাণ্ড গণহত্যার সামিল । কারণ সেদিন নারী-শিশু নির্বিচারে হত্যা করা হয়েছিল ।
এই হত্যাকাণ্ড ছিল সুদূর প্রসারী এক ধর্ম নিরপেক্ষ সংবিধান প্রণয়ন মেনে নিতে পারেনি তারা। সর্বশেষে দক্ষিণ এশিয়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতো জাতীয়তাবাদী নেতার উত্থান এবং বিশ্ব নেতা হয়ে ওঠা তারা মেনে নিতে পারেনি। যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, আগস্ট মাস শোকের মাস। বাঙালি জাতির জন্য একটি কলঙ্কের মাস। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ফজরের নাজামের জন্য মসজিদে মুয়াজ্জিন যখন আযান দেয়, মুসলমানরা যখন ফজরের নামাজ আদায়ের জন্য প্রস্তুতি নেয়, তখন বিপথগামী কিছু সেনা সদস্য গুলি চালিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করেছিল। তারা হত্যা করেছিল মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, মুজিব বাহিনীর প্রধান, যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মণি ও তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী বেগম আরজু মণিকে। তিনি বলেন, ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান সরাসরি জড়িত।
আগস্ট মাস বাংলার মানুষের জন্য দুঃখের মাস । আর জামাত-বিএনপি তথা কাল নাগিনী খালেদা জিয়া ও জামাত-বিএনপি তথা কালনাগিনী খালেদা জিয়া ও তার কুলাঙ্গার সন্তান তারেকের জন্য আনন্দের মাস । কারণ তারা ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট এই ২৩, বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের জন সভায় মানবতার নেত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল । আবার ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট তারা সারাদেশে একযোগে সিরিজ বোমা হামলা চালিয়েছিল। এই আগস্ট মাসকে সামনে রেখে বিনা কারণে, বিনা উস্কানিতে ভোলায় পুলিশের উপর তারা হামলা চালিয়েছে। তারা বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে সন্ত্রাসী দেশ হিসেবে প্রমাণ করতে চায়। তারা আরেকটি ১৫ আগস্ট সৃষ্টি করতে চায় ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য মঞ্জুর আলম শাহীন, ডা. খালেদ শওকত আলী, মো. হাবিবুর রহমান পবন, মো. নবী নেওয়াজ, মো. এনামুল হক খান, ড. সাজ্জাদ হায়দার লিটন, মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার মৃনাল কান্তি জোয়াদ্দার তাজউদ্দিন আহমেদ, মো. জসিম জোয়াদ্দার, তাজউদ্দিন আহমেদ, মো. জসিম মাতুব্বর, মো. আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা, সুব্রত পাল, মুহা: বদিউল আলম, ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মো. মাজহারুল ইসলাম, ডা. হেলাল উদ্দিন, মো. সাইফুর রহমান সোহাগ, মো. জহির উদ্দিন খসরু, মো. সোহেল পারভেজ, ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা, কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. জহুরুল ইসলাম মিল্টন, আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক কাজী সারোয়ার হোসেন, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মো. সাদ্দাম হোসেন পাভেল, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক মো. শামছুল আলম অনিক,উপ-তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক এন আই আহম্মেদ সৈকত, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. বিপ্লব মুস্তাফিজ, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা সম্পাদক ডা. মো. ফরিদ রায়হান জনশক্তি ও কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক শাহীন মালুম, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মো. হারিছ মিয়া শেখ সাগর, উপ-প্রচার সম্পাদক আদিত্য নন্দী, উপ-শিক্ষা প্রশিক্ষণ ও পাঠাগার সম্পাদক কাজী খালিদ আল মাহমুদ টুকু, উপ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক মো. সফেদ আশফাক আকন্দ তুহিন ও কেন্দ্ৰীয় নেতৃীবৃন্দ সহ মহানগর এবং বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতৃবৃন্দ।
|