,


শিরোনাম:
«» ভুল তথ্যে সংবাদ প্রকাশ করায় এনবিআর সদস্য কায়কোবাদের প্রতিবাদ «» অনন্যা সাহা (স্বাতী) ৩২তম জন্মদিন। «» বৈষম্যবিরোধীদের ওপর অতর্কিত হামলা, আইসিইউতে ২ ছাত্রী «» হিন্দুদের সরকারি চাকরি থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগ নিয়ে মুখ খুলল ইউনুসের সরকার, বলল… «» নতুন আঙ্গিকে আরো সু-পরিসরে ব্রাদার্স ফার্নিচার লি: এর শো-রুম এখন বরিশাল «» উদ্যোক্তা হাটের ২০২৪ এওয়ার্ড প্রদান «» উত্তরা ব্যাংকের এমডি রবিউল ইসলামের অপসারণ ও পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন। «» ধর্মনিরপেক্ষতা খারিজের পক্ষে ইউনূস সরকার «» ভন্ডপীর সাঈদ আনোয়ার মোবারকী বাবুর বিরুদ্ধে মানববন্দন ও প্রতিবাদ সমাবেশ। «» গাইবান্ধায় ভুয়া প্রেসক্লাব খুলে কথিত সাংবাদিকরা হেনাস্তা করছে সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী ও ব্যবসায়ীদের

ধর্ষণ মামলার আসামি উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী

ধর্ষণ মামলার আসামি উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী

নিজস্ব প্রতিবেদক

ধর্ষণ মামলার আসামি মাগুরা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখ রেজাউল ইসলাম চলতি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন বলে জানা গেছে। অবশ্য এসব ঘটনায় বিয়ের প্রলোভনে একাধিকবার ধর্ষণের মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করেন মাগুরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। তখন ধর্ষণের অভিযোগে মামলা ও পরোয়ানা জারির সংবাদ প্রকাশ হয় দেশের প্রথম সারির গণমাধ্যমে। ধর্ষণ মামলার আসামি উপজেলা চেয়ারম্যানপ্রার্থী হওয়ায় এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, এমন একজন ধর্ষক কিভাবে প্রার্থী হয়।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালে ছাত্রলীগ নেতা শেখ রেজাউল ইসলামের সঙ্গে পরিচয় হয় মাগুরা পৌরসভাভুক্ত একটি গ্রামের বাসিন্দা ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকার। স্বামী মাদকাসক্ত হওয়ায় তার সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হয় ওই শিক্ষকার। এই সুযোগে ছাত্রলীগ নেতা রেজাউল পূর্ব পরিচিত ওই ভুক্তভোগী নারীকে ব্যাংকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে সুসম্পর্ক গড়ে তোলেন। বিবাহিত হয়েও রেজাউল ওই নারীকে বিয়ের প্রলোভনে একাধিকবার শারীরক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এতে ওই স্কুলশিক্ষিকা একাধিকবার অন্ত:সত্ত্বা হয়ে পড়েন। প্রতিবারই জোর করে গর্ভপাত করান রেজাউল। এমনকি তার স্বামীকেও ডিভোর্স দিতে বাধ্য করান সাবেক এ ছাত্রলীগ নেতা। এ সময় বিয়ের জন্য বললে ভুক্তভোগী স্কুলশিক্ষিকা ও তার ছেলেকে হত্যার হুমকি দেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও বর্তমানে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী শেখ রেজাউল ইসলাম।

এসব ঘটনায় বাধ্য হয়ে মাগুরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন ভুক্তভোগী ওই নারী। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত ছাত্রলীগ নেতা রেজাউলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এর আগে মামলাটি আমলে নিয়ে মাগুরা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তাকে তদন্তের নির্দেশ দেন। তদন্তে ধর্ষণের সত্যতা পাওয়ায় বিচারক পরোয়ানা জারি করেন।

এর আগে বিষয়টি মীমাংসা করতে ভুক্তভোগী নারীর চাচাকে হাত করার চেষ্টা করেন ছাত্রলীগ নেতা রেজাউল। এমনকি ১০ লাখ টাকা ভুক্তভোগী নারীর চাচাকে দেন রেজাউল এমন অভিযোগও করেন ওই স্কুলশিক্ষিকা।

এসব বিষয়ে স্থানীয়রা জানান, রেজাউল একজন অসচ্ছ মানুষ। তাকে এলাকাবাসী কেউ পছন্দ করেন না। গায়ের জোরে সব কিছু হয় না। এমন একজন অপরাধীকে যদি উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে মেনে নিতে হয় তাহলে সাধারণ মানুষের ভোগান্তির শেষ থাকবে না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শেখ রেজাউল ইসলাম বলেছেন, পূর্বে কি হয়েছে সেটা মুখ্য বিষয় না অনেক ঘটনা আমার বিরুদ্ধে গেলেও আমি প্রার্থী হতে চাই। আর অনেক ঘটনা মিথ্যা আছে।

Share Button
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।
ঘোষনাঃ