
সুপারভাইজার ফয়সালের বাবা নুরুল ইসলাম বলেন, ‘দুর্ঘটনার সময় ফয়সাল বাসের ছাদে ছিল, সামনের স্টপেজে একটি কার্টুন নামাতে সে ছাদে উঠেছিল। ভেতরে থাকলে আজ এ দুর্ঘটনায় আমার ছেলেটিও মারা যেত। ওর বয়স ১৮ বছরের কম। আমি এ মামলা থেকে আমার ছেলের অব্যাহতি চাই।’
তবে সুপারভাইজার ফয়সালকে নির্দোষ দাবি করছে তার পরিবার।ফয়সালের বাবা নুরুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কী দোষ ছিল আমার ছেলের। সে তো গাড়ি চালায়নি, বাস যাত্রীদের টিকিট চেক করা ছিল তার দায়িত্ব। অথচ বিনা অপরাধে আমার ছেলেকে মামলার আসামি হতে হলো, বিনা দোষে সন্তান আজ জেলে। আমি দিনমজুর। আমার কাজ বন্ধ করে সন্তানের জন্য ছোটাছুটি করছি। আমার স্ত্রী সারা দিন কান্নাকাটি করছে।
’তিনি আরও বলেন, ‘দুর্ঘটনার সময় ফয়সাল বাসের ছাদে ছিল, সামনের স্টপেজে একটি কার্টুন নামাতে সে ছাদে উঠেছিল। ভেতরে থাকলে আজ এ দুর্ঘটনায় আমার ছেলেটিও মারা যেত। ওর বয়স ১৮ বছরের কম। আমি এ মামলা থেকে আমার ছেলের অব্যাহতি চাই।’বাসটির সুপারভাইজার ফয়সালের স্বজনরা দাবি করছেন, ফয়সাল নিরপরাধ।স্বজনরা জানান, মহাসড়কের পাশ ঘেঁষে সরকারি জমিতে যিনি পুকুর কেটেছেন, তিনিই হবেন এ মামলার আসামি। কিন্তু তিনি আসামির তালিকায় নাই। এ ছাড়া ভারী লাইসেন্স ছাড়া চালককে দিয়ে গাড়ি চালাচ্ছিলেন ‘বাশার স্মৃতি’ পরিবহনের মালিক আবুল কালাম আকন। তাকেও এ মামলায় আসামি করা হলো না, এটা দুঃখজনক।ঝালকাঠি বাস মালিক সমিতি ও বাস শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দুর্ঘটনা কবলিত বাসটির মালিক ঝালকাঠি শহরের কাশারিপট্টির আবুল কালাম আকন। বাসটি চালাচ্ছিলেন চালক মো. মোহন। তার বাড়ি নলছিটি উপজেলার রায়াপুর গ্রামে। সুপারভাইজার ফয়সাল ওরফে মিজান জেলার রাজাপুর উপজেলার বাসিন্দা। বাসের হেলপার আকাশ বরগুনার বাসিন্দা।
গত ২২ জুলাই বরিশাল-খুলনা মহাসড়কে উপজেলার ছত্রকান্দা এলাকায় ‘বাশার স্মৃতি’ নামের যাত্রীবাহী বাসটি সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উল্টে পুকুরে পড়ে যায়। এটি পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া থেকে ঝালকাঠি যাচ্ছিল। এতে ১৭ জন যাত্রী নিহত হন। ঘটনার একদিন পরে ঝালকাঠি সদর থানার এসআই সুশংকর বাদী হয়ে একটি মামলাটি করেন। এতে বাসের চালকসহ তিনজনকে আসামি করা হয়।
এ ধরনের আরো সংবাদ





