রাজশাহী বিভাগীয় চীফ এম এ সৈয়দ তন্ময় : বগুড়া গাবতলীতে দাদন ব্যবসায়ী হাফিজার রহমানের ছুরিকাঘাতে সদ্য এসএসসি পাস করা সোহাগ চন্দ্র সরকার (১৭) নামের এক মেধাবী ছাত্র খুন হয়েছে। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার নাড়–য়ামালা ইউনিয়নের চককাতুলী পাইকারপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহতের বড়ভাই সুমন বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে পুলিশ ২ জনকে গ্রেফতার করে।
জানা গেছে, গাবতলী সরকারী কলেজের অফিস সহকারী ও উপজেলার চককাতুলী পাইকারপাড়া গ্রামের শ্রী অমূল্য চন্দ্র সরকারের ছেলে অমৃত চন্দ্র সরকার (২৮) তার জ্যাঠাতো ভাই মিলনের মাধ্যমে বগুড়ার রাজাপুর ইউনিয়নের মেঘাগাছা গ্রামের মোস্তার ছেলে হাফিজার রহমানের কাছ থেকে গত এক মাস আগে ১০হাজার টাকা সুদের উপর ধার নেয়। ধারের এই টাকা নিয়ে গত ১৩ই জুলাইয়ে মিলন ও হাফিজারের মধ্যে তর্কবিতর্ক শুরু হলে সুদারু হাফিজার ও তার দলবল সোহাগ চন্দ্র সরকার ও তার বড়ভাই সুমনকে ছুরিকাঘাত করে। আহতদের উদ্ধার করে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সোহাগকে মৃত ঘোষনা করে। নিহত সোহাগ বগুড়া টিটিসি স্কুল থেকে এবছর এ প্লাস পেয়ে এসএসসি পাশ করেছে। গতকাল বগুড়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে ভর্তি হওয়ার কথা ছিল। পুলিশ এ ঘটনায় মেঘাগাছা গ্রামের কিনা মন্ডলের ছেলে আবু তাহের ওরফে চুনা মন্ডল (৩০) ও সুরুত চন্দ্র রায় এর ছেলে সুমির চন্দ্র রায় (২৩)কে গ্রেফতার করেছে। এ ঘটনায় নিহত সোহাগের বড়ভাই সুমন চন্দ্র সরকার বাদী হয়ে গতকাল থানায় ৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৪/৫জনকে অজ্ঞাত বলে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এ ব্যাপারে থানার ওসি খায়রুল বাশার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সুদের টাকা নিয়ে এ খুনের ঘটনা ঘটেছে। এদিকে সোহাগ চন্দ্র সরকারকে খুনের প্রতিবাদে শনিবার বগুড়া শহরের সাতমাথায় লাশ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল শেষে ১ঘন্টা মানববন্ধন পালন করেছে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন।